সুজন সরোয়ার,নিজস্ব প্রতিবেদক :
টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং গাজীপুর মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ রেজাউল করিম। তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই নেতার সাংগঠনিক দক্ষতা বলে মন কেড়ে নিয়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের। পাশাপাশি টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বের কারণে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তি থেকে শুরু করে টিউশন ফি মওকুফ, অসুস্থ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান সহ সকল সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশুনা ও পরীক্ষার খোঁজ-খবর নেয়ার মাধ্যমে তিনি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝেও আজ খুবই জনপ্রিয়।
এই সাফল্য ও জনপ্রিয়তাই কাল হলো তার। কিছু কুচক্রী মহল তার সাফল্যে ঈর্ষান্বীত হয়ে তার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করতে টাকার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট খবর প্রচার করছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী সরকারি কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন “রেজাউল করিম একজন নিরহংকারী, নির্লোভ, নামাজী মানুষ। তিনি সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে ছিলেন। আমরা এ ধরনের ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাই।টঙ্গী সরকারি কলেজকে ধুমপান মুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গড়তে তার অবদান অনস্বীকার্য।
এ ব্যাপারে রেজাউল করিমের প্রতিবেশী ও স্থানীয় মুরব্বিদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, “রেজাউল করিম একজন দয়ালু মানুষ, সব সময় গরীব দুঃখীর পাশে থেকে তাদেরকে উপকার করার চেষ্টা করে, রেজাউল করিম একটি মসজিদের সভাপতি ও অন্য একটি মসজিদ কমিটির সদস্য। মাদক তো দূরের কথা তাকে কখনো সিগারেট টাও হাতে নিতে দেখি নাই ।রেজাউলের মত ভাল মানুষ এই এলাকায় কমই দেখেছি”। কয়েকজন মহিলা জানান ৪৬ নং ওয়ার্ডে রেজাউল করিমের জনপ্রিয়তা অনেক। আমরা এই ভুয়া খবরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন বলেন আমরা জানি কে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছে। তার শাস্তি সে অবশ্যই পাবে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও এই ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক নিউজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন , সকল আন্দোলন সংগ্রাম এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে সে অনেক বড় বড় মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করে। যার ডাকে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয় সে কখনো কোন খারাপ কাজ করতে পারে না।
এ ব্যাপারে মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ২০০৪ সালে ৭ মে আমার প্রধান শিক্ষক শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি নিহত হলে সারা বাংলাদেশে যে আন্দোলন সৃষ্টি হয় সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমার রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হয়। দীর্ঘ প্রায় আঠারো বছরের রাজনৈতিক পথ চলায় আমি ৪৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা ছিলাম, টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। সফলতার সঙ্গে গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। বর্তমানে আমি টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সম্পাদকের দ্বায়িত সততার সাথে পালন করছি। প্রায় ২৬ মাস আগে আমি একজন মাদক ব্যবসায়ী কে ধরিয়ে দেই। দীর্ঘদিন পর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি অডিও রেকর্ডিং এর অংশ বিশেষ বিকৃত করে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত। আমার দত্তপাড়া হাফিজ উদ্দিন সরকার রোডে ৩ কাঠার একটি টিনসেড বাড়ি ( যেখান থেকে আমি ১২/১৩ হাজার টাকা ভাড়া পায়) আছে। এবং নোয়াগাঁও এলাকায় ৭৮০ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্লাট আছে যেটি আমি প্রায় ষোল লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। এ ছাড়া আমার কোন স্হায়ী সম্পদ নাই। আমি মেঘনা গ্রুপের নাম্বার ওয়ান কোম্পানির টঙ্গী পূর্ব থানায় পরিবেশক হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। যারা আমার এবং আমার সম্পদের ব্যাপারে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..