
নিরেন দাস,জয়পুরহাটঃ-
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে যখন সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে, ঠিক এমন সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শ্রমজীবী মানুষগুলোর মুখে খাবার তুলে দিতে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার চালু করা হয়েছে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’।
জয়পুরহাট জেলা শহরের আমতলীর মাহতাব উদ্দীন বিদ্যাপীঠে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ চালু করে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাজার করা থেকে শুরু করে রান্নার কাজ শেষে ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’ এর মাধ্যমে হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলোর হাতে হাতে পৌঁছে দিচ্ছে রান্না করা খাবার।
সরকার ঘোষিত লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের আয় যখন কমে গেছে। প্রতিদিনের সংসারের খরচ জোগাড় করাই যখন হয়ে পড়েছে কঠিন। ঠিক এমন সময় বিপাকে পড়া হতদরিদ্র শ্রমজীবী মানুষগুলোর পাশে ছাত্র ইউনিয়নের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসী।
ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সভাপতি রিফাত আমিন রিয়ন দৈনিক সূর্যোদয়কে জানান, ‘সারাদেশে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। আর এ লকডাউনে সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নির্মাণ শ্রমিকদের মতো নিম্নআয়ের মানুষগুলো। ছাত্র ইউনিয়ন বিনামূল্যে একবেলা খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন থেকে খাবার বিতরণ করছে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা।
আর যত দিন এ লকডাউন চালু থাকবে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আমাদের পাশাপাশি অসহায় শ্রমজীবী এসকল মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ রইলো।’
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তাসরিন সুলতানা জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয়কে বলেন, ‘আমরা ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব থেকে শ্রমজীবী এসকল মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। বিনা মূল্যে একবেলা খাবার দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘লকডাউন সকলকেই মেনে চলা উচিৎ। তবে পেটে খাবার না থাকলে কেউ লকডাউন মানবে না এইটাই স্বাভাবিক। তাই সরকারের প্রতি আহব্বান জানাবো লকডাউন ঘোষনার আগে শ্রমজীবী মানুষের খাবার যেনো নিশ্চিত করা হয়।’
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply