টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ টঙ্গীতে ৫০ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাবশালী নেতা আজিজুল ইসলাম আজিজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র, পত্রিকা ও অনলাইনে ‘’টঙ্গীতে যুবলীগ নেতা আজিজের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, মাওলানা লাঞ্চিত’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ ঘটিকার সময় টঙ্গীর শালিকচুড়া এলাকায় আজিজুল ইসলামের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ৫০ নং ওয়ার্ডের কাজী মাওলানা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছোট ভাই মাহাবুবুর রহমান, যুবলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ কামাল দেওয়ান, ভাই বন্ধু ক্রীড়া চক্রের স্থায়ী কমিটির সদস্য হাবীবুর রহমান হাবীব, মোঃ নুর আলম শেখ, ইব্রাহিম খলিল, সাংবাদিক রেজাউল কবির রাজীব, আল আমিন হোসেন, মো ইউনুছ আলী, শেখ রাজীব হাসান, আবু সালেহ মুসা, আনু হাসান, দুর্জয় রায়হান, মোস্তফা, হানিফ হোসেন, মোঃ আউলাদ হোসেন প্রমুখ। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন যাবত ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাজী আরমান হোসেনের অফিস ৫০ নং ওয়ার্ড অন্তরভুক্ত শালিকচুড়া এলাকায় নেওয়া ও ৫০ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে বেআইনি ভাবে বিবাহ (নিকা) কার্যক্রম পরিচালনা করায় ৫০ নং ওয়ার্ডের মূল কাজী মাওলানা মুহাম্মদ নাছির উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ চলছিলো। কাজী আরমান হোসেন বহুবার অফিস স্থানান্তর করার কথা দিলেও তিনি অফিস সরিয়ে না নিয়ে জোড় পূর্বক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এরই জের ধরে গত ১০ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে ৪৯ নং ওয়ার্ডের কাজী আরমান হোসেন আজিজুল ইসলামের ছেলের বিবাহ সম্পাদন অনুষ্ঠানে উক্ত ওয়ার্ডের মূল কাজী মাওলানা নাছির উদ্দিনকে সাথে নিয়ে বিবাহ কার্যক্রম করার কথা দিয়ে তাকে অন্যাত্র বসিয়ে রেখে নিজেই বিবাহ কার্য সম্পন্ন করে এবং নাছির উদ্দিনকে জানায় বিবাহ অগেই সম্পন্ন হয়ে গেছে। এবিষয়ে কথা বলার জন্য কাজী নাছির উদ্দিন কাজী আরমানের অফিসে বসে তার সাথে কথা বলার জন্য বহুবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে কাজী আরমান ফোন রিসিভ না করে আজিজুল ইসলামের মোবাইলে ফোন কল দিয়ে মাওলানা নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাজে মন্তব্য করে বলে আপনার ছেলের বিয়ে পরিয়েছে বলে নাছির উদ্দিন আমার অফিসে এসে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এসময় কাজী আরমান নিজের ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাছিলের উদ্দেশ্যে পাশের ব্যাবসায়ী আলম শেখের নামে বাজে মন্তব্য করে আজিজুল ইসলামকে ক্ষীপ্ত করে। অতঃপর আজিজুল ইসলাম রাত আনুমানিক ৯.৩০ মিনিটে কাজী অফিসে এসে নাছির উদ্দিনের সাথে উচ্চস্বরে বলেন, এখন এখান থেকে চলে যান, এসময় আশপাশে জড় হওয়া লোকজন কাজী মাওলানা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে রিক্সায় উঠিয়ে দেন। এসময় আজিজুল ইসলাম আলম শেখকে কাজী আরমানের ভুল প্ররোচনায় পরে উচ্চবাচ্চ স্বরে ধমকিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আজিজুল ইসলাম বুঝতে পারে কাজী আরমান মিথ্যা বলেছে। আজিজুল নিজের ভুল বুঝতে পেরে আলম শেখ ও কাজী মাওলানা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের কাছে ভুল স্বীকার করে সমঝোতা করেন। প্রতিবাদ সভায় আজিজুল ইসলাম বলেন, কাজীদের কারণে নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো, তার মীমাংসাও হয়েছে। কিন্তু ঘটনার মীমাংসার ১দিন পরে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্যে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকার যেভাবে নিউজ করা হয়েছে আমি তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।