আনিছুর রহমান,নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইলে বাসচাপায় সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী শিক্ষক দম্পতিসহ একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কয়একজন । টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের রাবনা মোড়ে ২১ আগস্ট শুক্রবার
এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের ভদ্রশিমুল দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আল আমিন (৫৪), তার স্ত্রী একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শিউলি খাতুন (৪২), শিক্ষক আল আমিনের বাবা মোঃ সোহরাব আলী (৭৫) ও মা সালেহা বেগম (৭০)। এ দুর্ঘটনায় শিক্ষক আল আমিনের বোন হাজেরা বেগম ও অটোরিকশার চালক ফেরদৌস তরফদার গুরতর আহত হন। তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, ভূঞাপুর উপজেলা সদর থেকে আল আমিন তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। দুপুর ১২ টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের রাবনা মোড় থেকে শহরের দিকে ঢোকার পথে সৈকত পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সিএনজি অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা সিএনজির চালকসহ ছয় আরোহীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রথমে শিউলি খাতুনের মৃত্যু হয়। পরে গুরতর আহত আল আমিন, সোহরাব আলী ও সালেহা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতির সময় তারাও মারা যান। নিহত আল আমিনের ভাই নজরুল ইসলাম জানান, তার অসুস্থ মা সালেহা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর জন্য তার পরিবারের লোকজন টাঙ্গাইল শহরে যাচ্ছিলেন। দুপুরে তার ভাইয়ের মুঠো ফোন থেকে একজন পুলিশ সদস্য প্রথমে এ দুর্ঘটনার খবর দেন। তারা জানান, এক দুর্ঘটনায় সবাই আহত হয়েছেন। তাই তাদের চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে যেতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে তিনি সবার লাশ দেখতে পান। নিহত আল আমিন ভূঞাপুর উপজেলা সদরের পশ্চিম ভূঞাপুর এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন। তাদের দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে আশা খাতুন দশম শ্রেণিতে এবং ছোট আখি খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। মৃত্যুর খবর তারা মুর্ছা যান। হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মতিউর রহমান জানান, বাসটিকে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।
এ ব্যপারে এলাকাবাসির মন্তব্য ব্যাপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর কারনে প্রায়ই এই রকম দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় সাধারন যাত্রিদের।