ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: চা পাতাতেও বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে । লকডাউনের কারণে ব্যহত হয়েছে বাগানগুলোতে চা উৎপাদন। যার প্রভাব পড়ছে চায়ের বাজারে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাধীন রুহিয়া থানার দবির টি গার্ডেনের পরিচালক মো. দবির উদ্দিন জানান, ছয় একর
জমিতে ৩টি চা বাগান লাগিয়েছেন। ৭ থেকে ৮ হাজার কেজি পাতা পাওয়া যায় ওই বাগান থেকে ।
পপুলার, সুলতান টি ফেক্টরিসহ বিভিন্ন ফেক্টেরিতে পাতা সরবরাহ করেন তিনি। গতবার প্রতি কেজি পাতার দাম
ছিল ১০ থেকে ১৪ টাকা। এবার প্রতি কেজি পাতা বিক্রি করেছেন ৩২টাকা দরে।
পাতার দাম পেয়ে মহা খুশি তিনি। পপুলার টি ফেক্টরি জেনারেল ম্যানাজার এ কে এম জাহিদুল হাসান (জাহিদ)
বলেন, চলতি বছরে চায়ের উৎপাদন কমে যাওয়ায় অকশনে দাম অনেক বেড়ে গেছে।
পাশাপাশি চায়ের মান ভাল হওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড়
সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০৬ জন নিবন্ধনকৃত চা চাষি রয়েছে। সদর উপজেলাধীন রুহিয়া থানায় রয়েছে
১০ জন চা চাষি। রাজাগাঁও ইউনিয়নের জয় টি গার্ডেনের সত্যাধিকারী মোঃ খাদেমুল ইসলাম সরকার জানান, ২
একর জমিতে দুইটি বাগান, চার হাজার কেজি পাতা পেয়েছেন। সেই পাতা ত্রিশ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করেছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, তার বাগান দেখাশোনা করেন গণি মিয়া।
পাতার বেশি দাম পাওয়ার খুশিতে গণিকে নতুন সাইকেল উপহার দিবেন। বাংলাদেশ চা বোর্ড আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড় (ঠাকুরগাঁওয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত) উর্দ্ধতন খামার সহকারী, বলেন, মোঃ ছায়েদুল হক, চায়ের মান ভাল ছিল। তবে পাতার মূল্য বৃদ্ধিতে চা চাষিদের একটু চালাকি কাজে লেগেছে, বিগত দিনে সকল বাগানের পাতা একসাথেই তোলা হতো কিন্তু এবার পর্যায়ক্রমে পাতা তোলার কারনে সামান্য কৃত্রিম সংকট তৈরী হওয়ায় চাহিদা বেশি ছিল চা পাতার।