জিয়াউল ইসলাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান খুলনাঃ
খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলায় বিভিন্ন গ্রামের অসহায় নারী নির্যাতনেরশিকার হয়ে বাবার বাড়িতে পড়ে থাকে। স্বামীরা কোন খোঁজ খবর নেয় না। অনেক স্বামীরা পুতুল খেলা র মতো একাধিক মেয়েকে বিবাহ করছে। আবার অসহায় ভেবে তাদের কে ছেড়ে দিচ্ছে। ঐসব মেয়েরা এক সময়ে নিজেদের ভাগ্য কে দোষারোপ করে। তাদের পিতা মাতা নিজেদের কে অপরাধী ভাবতে থাকে। আর কিছু কিছু স্বামী রা তাদের এমন কাজের জন্য নিজেদের কে রাজা ভাবতে থাকে। গ্রামের গন্য মান্য ব্যাক্তি,চেয়ারম্যান সাহেব, মেম্বার সদস্য দের কাছে গিয়েও যখন তারা কোন সুবিচার পাইনা। তখন তারা ব্র্যাকের সেল্প কর্মসূচি র কাছে ছুটে আসে নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ব্র্যাকের সেল্প কর্মসূচি তে মাএ ১০ টাকার বিনিময়ে আইনী সহায়তা ও বিনামূল্যে আইনী পরামর্শ দিয়ে থাকে। ক্যাটাগরির ভিত্তি তে ১২ জন আইন সহায়তা পাওয়া নারী ক্লায়েন্ট আসে। তাদের আইন সহায়তা পাওয়া, কোর্ট সহায়তা, আরো কি চাওয়া, যাদের অফিস থেকে সমস্যা সমাধান হয়ে যায় তারা স্বামী র সংসারে কেমন আছে ইত্যাদি বিষয়ে চুল চেড়া বিশ্লেষণ করে ব্র্যাকের সেল্প কর্মসূচি আরও নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করে ডিজিটাল উন্নয়নে সামিল হতে শুরু থেকে আজ অবধি কাজ করে যাচ্ছে।নারীরা কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে সে বিষয়ে ব্র্যাকের সেল্প কর্মসূচি সব সময়ই নারীদের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। ১২ জন ক্লায়েন্ট এর ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন সেল্প কর্মসূচি র জনাব নয়ণ কুমার ঘোষ ও জনাব কামরুল ইসলাম। সার্বিক সহযোগিতা করেন সেল্প কর্মসূচি র লিপি বিশ্বাস। ব্র্যাকের সেল্প কর্মসূচি অদূর ভবিষ্যতে এভাবে নারীর জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করবে এই প্রত্যাশায় ক্লায়েন্ট ওয়ার্কশপের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।