সেলিম সম্রাট,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের বহুল আলোচিত লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন। ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন পেতে দৌঁড় ঝাপ শুরু করেছে প্রত্যাশীরা।
উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে আবারও নৌকার মাঝি হয়ে দহগ্রাম ইউনিয়ন কে ডিজিটাল ইউনিয়নে রুপান্তরিত করতে চান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান হাবীব।
পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের কাতি পাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল এর ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান হাবীবুর রহমান হাবীব, এর বাসভবনে রবিবার প্রতিনিধির একান্ত স্বাক্ষাতকারে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ৯২ সাল থেকে ছাত্রলীগ কর্মী এবং ওয়ার্ড কমিটি সভাপতি,পরবর্তিতে যুবলীগ এর ইউনিট কমিটির সভাপতি ও বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক পদে আছি। দহগ্রামে যখন প্রথম ওয়ার্ড কমিটি গঠিত হয় তখন আমার বাবা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কমিটি’র সভাপতি ছিলেন।
যুবলীগ এর ইউনিয়ন সভাপতি থাকা অবস্থায় বিএনপি’র হেভিওয়েট প্রার্থী সাইফুল ইসলামকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে দহগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর সাথে স্বাক্ষাত করে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি বাস্তবায়নে ভুমিকা রেখেছি। তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে দহগ্রামকে বিলিন হতে দেইনি অনেক পরিশ্রম করে উধর্তন কৃতপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দেশের মানচিত্রে দহগ্রামের ভৌগলিক অবস্থান রক্ষা করতে পেরেছি।
সরকারের গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে অংশীদারীত্ব রেখেছি। বিএনপি জোট সরকারের আমলে আমার নেতৃীত্বে বিভিন্ন আন্দোলন করেছি। অনেক হামলা, মামলা মোকদ্দমা মোকাবেলা করেছি। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ এর বিভিন্ন কমিটিতে নেতৃীত্ব দিয়েছি। সংগঠন বিরোধী কোন কর্মকান্ড কখনই করি নাই, দলীয় সকল কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করেছি তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আবারও আমি দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতিক) প্রত্যাশী।
এ ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশী সমস্যা কৃষক ভোগান্তি,দহগ্রামের মানুষ গরু লালন পালন করে কিন্তু শুধু মাত্র চেয়ারম্যান মেন্বারগনের স্লিপ বানিজ্যের কারনে নায্যমূল্য থেকে বিরত।
দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতিক) নিয়ে নির্বাচিত হয়ে, সমস্ত সরকারী সেবা জনগনের দোঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিবো। কৃষক ভোগান্তি,গরু বিক্রির স্লিপ বানিজ্য,টিআর-কাবিটা প্রকল্প বানিজ্য বন্ধ করব। সরকারের সকল উন্নয়নের সুবিধা গুলো জনগনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিব।বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে বেকারদের আত্বকর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিবো। শিক্ষা,স্বাস্থ্য, দারিদ্র বিমোচন,রাস্তা ঘাট অথ্যাৎ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করব।
সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে কৃষক ভোগান্তি,গরু বিক্রির স্লিপ বানিজ্য বন্ধ করব দহগ্রামকে পর্যটন এলাকায় রুপান্তরিত করব। ক্ষুধা ও ভিক্ষুক মুক্ত ডিজিটাল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব। আবারও দল আমাকে মনোনয়ন দিলে এবারেও নৌকা প্রতিক নিয়ে আমি বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।
দল যদি আপনাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে নির্বাচন করবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি কখনও দলের সঙ্গে বেইমানী করিনাই এবারেও করব না।। তবে এই ইউনিয়নে আমার মত দলীয় যোগ্য কেউ নেই বলে আমি মনে করি।