জুয়েল খাঁন,সিলেট জেলা প্রতিনিধি
১১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। কিন্তু এদিন সকাল থেকে সিলেটে বাস ধর্মঘট পালনের হুমকি দিয়েছে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিকরা। আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) সকালে মানববন্ধন করে ধর্মঘট পালনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদের প্রত্যাহার ও মেয়াদোত্তির্ণ সকল সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধসহ ৬ দফা দাবি পূরণ না হলে তারা কঠোর ধর্মঘট পালন করবেন বলে জানান।
সকালে এ মানববন্ধনে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল মুহিমের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি রুনু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মিয়া মবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত আবুল।
তাদের দাবিগুলো হলো- ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক হয়রানি বন্ধ, সিলেটে যেহেতু পার্কিং এর স্থান নেই সেহেতু রং পার্কিং এর মামলা বন্ধ ও দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি ছাড়া রেকারিং বিল আদায় বন্ধ করা, ট্রাফিকের ডিসি ফয়ছল মাহমুদ, ট্রাফিক এডিসি জ্যাতির্ময় সরকার ও ট্রাফিক সার্জন নুরুল আফছারকে প্রত্যাহার, মেয়াদ উত্তীর্ণ লামাকাজি সেতু, শেওলা সেতু, শেরপুর সেতু, ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধ ও শাহপরাণ সেতু থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও বিআরটিএ সিলেট অফিসে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ ও নবায়ন ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের মধ্যে ও নতুন ড্রাইভিং লাইলেন্স ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
এছাড়াও ৩ বছর আগে শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রফতার শ্রমিকদের মুক্তি ও গাড়ির ডাবল আয়কর বন্ধ করার বিষয় উল্লেখ করা হয়।
তবে আগামী ১১ অক্টোবর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা সে ক্ষেত্রে ওইদিনই ধর্মঘট কেন- এমন প্রশ্নে সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত মাসের ২৬ তারিখ স্মারকলিপি দিয়েছি। এতে উল্লেখ করা হয়েছে দাবি না মানলে ১১ অক্টোবর ধর্মঘট পালন করব। কিন্তু প্রশাসন এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সে ক্ষেত্রে পূজা হলেও আমাদের কিছু করার থাকে না।’