1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
দিনদিন বাড়ছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গু থাবা, ছয়মাসে ৪ জনের মৃত্যু 
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন

দিনদিন বাড়ছে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গু থাবা, ছয়মাসে ৪ জনের মৃত্যু 

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩, ১১.৫৭ এএম
  • ১৬৫ বার পঠিত

দৈনিক সূর্যোদয় ডেস্ক 

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণের থাবায় দিনদিন বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ছড়িয়ে পড়ছে জেলা সদর ও উপজেলায়ও।

 

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ১৩৪ জন। এর মাঝে রোহিঙ্গার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এক হাজার ৯৫৮ জন। শতকরা হিসাবে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের প্রায় ৯২ ভাগ।

 

এ ছয় মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন চার রোহিঙ্গা। এরপরও ডেঙ্গুর প্রকোপ গত বছরের তুলনায় নিম্নমুখী বলে দাবি কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের।

 

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই হাজার সাতজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯০৫ জন রোহিঙ্গা ও ১০২ জন ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা। এর বাইরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালসহ আটটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২৭ ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে স্থানীয় ৭৪ এবং ৫৩ জন রোহিঙ্গা। ঘনবসতি ও অপরিচ্ছন্নতায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে ক্যাম্পে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়া দুরূহ।

 

সর্বশেষ ২৩ জুন একজনের মৃত্যু নিয়ে বিগত ছয় মাসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের সবাই রোহিঙ্গা। আক্রান্ত বিবেচনায় ৫৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৩ শতাংশ নারী। এতে ০-৫ বছরের মধ্যে ৬ শতাংশ, ৬-১৮ বছরের মধ্যে ২১ শতাংশ, ১৯-৪০ বছরের মধ্যে ৬১ শতাংশ, ৪১-৬০ বছরের মধ্যে ১১ শতাংশ ও ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১ শতাংশ পাওয়া গেছে।

 

সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ পংকজ পাল জানান, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় নিম্নমুখী বলা যায়। ২০২২ সালে কক্সবাজারে মোট ১৯ হাজার ২৩১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয় ছিলেন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। যার মধ্যে রোহিঙ্গা ২৬ জন ও স্থানীয় ১৩ জন।

 

এ অবস্থায় আরও দুই মাস পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ দুই মাসের পরিসংখ্যান নিলে বোঝা যাবে জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews