1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
দিনাজপুরের খানসামায় কোয়েল পাখির খামারে বদলে গেলো আনিসুর এর জীবন।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

দিনাজপুরের খানসামায় কোয়েল পাখির খামারে বদলে গেলো আনিসুর এর জীবন।

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০, ৬.৩৩ পিএম
  • ২৭৩ বার পঠিত

তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর ব্যুরোঃ

প্রোল্ট্রির জগতে ক্ষুদ্র পাখি কোয়েল। আগে বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ালেও বর্তমানে খামারে বানিজ্যিকভাবে এখন পালন করা হচ্ছে কোয়েল পাখি। আমাদের দেশের আবহাওয়া কোয়েল পালনের জন্য বেশ উপযুক্ত। কোয়েল পাখির খামার করে এমন এক দৃষ্টান্তমূলক কাজ করেছেন দিনাজপুরের খানসামার আনিসুর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। কোয়েল পাখির খামার দিয়ে ডিম ও পাখি বিক্রি করে তিনি এলাকার বেকারদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন। নিজেও হয়েছেন স্বাবলম্বী। দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের নেউলা গ্রামের ছেলে আনিসুর রহমান । বাড়ির পাশে ৭ শতক জমির উপরে খামারটি করেছেন তিনি। সেখানে পা রাখতেই দেখা গেল তার হাতে গড়া কোয়েল পাখির একটি খামার। বাড়ির পাশে নিজেদের জমিতে প্রশস্ত একটি ঘর তৈরি করে তার চারপাশে নেট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কোয়েল পাখির খামার। খামারের পাশেই তার বসত ঘরে বসে কোয়েল পালনের নানা বিষয়ে কথা হলো আনিসুর রহমানের সাথে। তার কাছে জানা গেলো, সে ব্যাক্তিগত ভাবে এক জন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী। খানসামা উপজেলার পাকের হাটে তার একটি দোকান আছে। শখের বসে কোয়েল পাখি লালন পালন শুরু করেন তিনি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোয়েল পাখি পালন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং ১দিন বয়সী পাখি কিনে নিয়ে এসে শুরু করেন কোয়েল পাখির খামার।

তার স্ত্রী লাভলী আক্তার এবং তার ছোট ভাই আসিকুল ইসলাম পাখি গুলোর দেখাশুনা করেন। পাখিগুলো যখন ১ মাস পর থেকে ডিম দিতে শুরু করল তখন থেকেই আনিসুর রহমান ভাবতে লাগলেন এটা আসলেই একটি লাভজনক ব্যবসা হবে। তিনি আরো এক হাজার পিছ ১ মাস বয়সী কোয়েল পাখি কিনে খামারের পরিধি বৃদ্ধি করেন। সেই সাথে তিনি তৈরী করেন ইনকিভিউটার কোয়েলের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর মেশিন। সেই মেশিনে ডিম তাপে রাখলে ১৭ দিন পর বাচ্চা ফুটে বের হয়। ১টি স্ত্রী কোয়েল ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ডিম পাড়া শুরু করেন। এরা ১৮ মাস পর্যন্ত ডিম দেয়। আনিসুর রহমান আরো জানান বর্তমানে তার খামারে রয়েছে প্রায় ২০০০ কোয়েল পাখি। প্রতিদিন ডিম পাচ্ছেন গড়ে ৮০০। খামারে প্রতিদিন তিনি ডিম বিক্রি করে ১৬০০ টাকা আয় করেন। প্রতি মাসে তাদের খরচ বাদ দিয়ে তিনি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করেন। কোয়েল পাখিকে খাবার প্রতিদিন ১০ কেজি করে দেওয়া হয়। এভাবে আনিসুর কোয়েল পাখির খামার দিয়ে বেকারত্বকে পরাজিত করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কোয়েল পাখি পালনে বেশ সুবিধা রয়েছে।

কোয়েল দ্রুত বর্ধনশীল, মাত্র ৬-৭ সপ্তাহে ডিম পাড়া শুরু করে। ডিমে কোলেস্টরেল কম, প্রোটিনের ভাগ বেশী। মাত্র ১৭/১৮ দিনে কোয়েলের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। হাসমুরগীর চেয়ে কোয়েলের রোগ বালাই নেই বললেই চলে। এ কারনে কোয়েল পাখির খামার করতে অনেকেই আগ্রহী। দেশের বিভিন্নস্থানে যেভাবে কোয়েল পাখির খামার হচ্ছে তাতে অতিশীঘ্রই এইখাতে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টরে একটি বিরাট পরিবর্তন আনবে বলে এই কর্মকর্তার মনে করেন। এব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান এধরনের পোল্ট্রি খামার উদ্যোক্তাদের খানসাসা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগতম জানাচ্ছি। তাদের পোল্ট্রি খামার উন্নয়নের ব্যাপারে সরকারি কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সক্রিয় ভাবে তাদের সহযোগিতা প্রদান করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews