তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর ব্যুরো:
বিরলে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী এক দম্পত্তির মৃত্যু হয়েছে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ১১ নং বৈরচুনা ইউপি’র ভবানীপুর গ্রামের কছিমদ্দিন (৭০) ও তাঁর স্ত্রী ছমেনা বেগম (৬৫) নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শুক্রবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে বিরল উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র নোনা কামাত এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। বিরল থানার এসআই কাদের নেওয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত ওই দম্পত্তি তাদের নাতি ওমর ফারুকের মটর সাইকেল যোগে বিরলের ভান্ডারা এলাকা থেকে নিজ বাড়ীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। মোটর সাইকেলটি নোনা কামাত এলাকায় পৌঁছালে সামনে ওই রাস্তায় সংস্কারের কাজ করা একটি রোলারকে ওভারটেকিং করার সময় পিছনে থাকা মটর সাইকেল আরোহী ওই দম্পত্তি রোলারটির সাথে ধাক্কা খেয়ে সামনে ছিটকে পড়ে। এতে রোলারের চাকায় পিষ্ট হয়ে দম্পত্তি কছিমদ্দিন ও ছমেনা বেগমের ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয়। সংবাদ পেয়ে বিরল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর থেকে রোলার চালকসহ রাস্তার কাজে নিয়োজিত সকলে পলাতক রয়েছে।
[…] তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর ব্যুরো খানসামায় নিলাম ছাড়াই ব্রীজ ভাঙ্গার অভিযোগ: সরকারী অর্থ আত্মসাৎ” শিরোনামে গত ১৯ ও ২০ আগস্ট কয়েকটি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন বলেন, উপজেলার টংগুয়া হতে পাকেরহাট রাস্তায় ৮.৭০ মিটার স্লাব কালভার্টটি ২০১৭ সালের বন্যায় বিধস্ত হয়। এই ব্রীজটি ভাঙ্গার জন্য নিলামে সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রায় ৫৬ হাজার টাকা হওয়ায় নিলামে অংশগ্রহন করেও কোন ব্যক্তি বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিতে রাজি হয় নি। কারণ প্রায় ২০ হাজার টাকা মূল্যের ঐ ব্রীজটি ভাঙ্গতে ও অবমুক্ত করতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছিল। ব্রীজটি অপসারণ না করলে ৭৬ লক্ষ টাকা মূল্যের নতুন ব্রীজের কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় নিলাম ছাড়াই সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকারকে জনবল দিয়ে সহযোগিতা করে তা ভাঙ্গানোর ব্যবস্থা করি। নিলাম ছাড়াই ভাঙ্গার কারণে বিধ্বস্ত ব্রীজটির প্রায় ৭৫ ভাগ ইট অত্র এলাকার লোকজন নিয়ে যায়। বিষয়টি অন্য খাতে প্রবাহিত করে একটি কুচক্রী মহল আমাকে সহ প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৮ সালে ক্ষমতাশীল দলের নেতার বিরুদ্ধে দুর্ণীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেয় এবং আমাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ঐ সময়ের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা গুলি কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ দিতে না পারায় আমি বেকসুর খালাস হই। তাছাড়াও কাশিপুর বালুঘাট, খানসামা ডাকবাংলো ও অবৈধ সার তৈরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন কুচক্রী মহল। […]
[…] তাজ চৌধুরী, দিনাজপু ব্যুরো দিনাজপুরের পার্বতীপুর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রকৌশলী শামিম আখতার এখন করোনামুক্ত। দ্বিতীয় দফায় তার নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি তার স্ত্রী ডাঃ আতিকা ইসলাম সর্বক্ষন স্বামীর দেখাশুনা করেন এবং তার পাশাপাশি সবসময়ই ছিলেন তবে তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য সবসময় মাস্ক ব্যাবহার করেছেন এবং নিয়ম মেনে চলেছেন। তার স্ত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি দ্রুত সুস্থ্য জীবনে ফিরে এসেছেন। স্ত্রী তার সাথে সবসময় থেকেও করোনায় আক্রান্ত হননি। পরিবারের অন্য সদস্যদের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি। হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা ও নিয়মিত গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করার সুফল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন করোনাজয়ী প্রকৌশলী শামিম আখতার। সেই সঙ্গে মনোবলও শক্ত ছিল তার। তিনি আরো বলেন, অবশ্যই আমাদের সচেতন হতে হবে। একটু খেয়াল করে সচেতনতার সহিত চললেই নিজেরও ভালো অন্য মানুষরাও ভালো থাকবে। আলাপকালে নিজের করোনা পজেটিভ থেকে নেগেটিভে আসার বর্ণনা দেন তিনি। শামিম আখতার দিনাজপুরের বাসিন্দা। তিনি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত আছেন। প্রকৌশলী শামিম আখতারের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় গত ২০ আগষ্ট তার নমুনা নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গত ২০ আগষ্টে তার নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকা প্রকৌশলী ও তার পরিবারের কাছে এ সুখবরটি পৌঁছে। করোনাকে জয় করা এই প্রকৌশলী বলেন, নিজের মনোবল সবসময় শক্ত ছিল। করোনাকে জয় করতে পারবেন এমন আত্মবিশ্বাস ছিল। কখনও তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েননি। পরিবারের লোকজনদেরও তিনি সাহস যুগিয়েছেন। কীভাবে তিনি সুস্থ হলেন এমন প্রশ্নের জবাবে শামিম আখতার জানান, হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার পর থেকে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তবে বাড়িতে আসার পর জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। তিনি আরও বলেন, ওই সময়ে হালকা কাশি ছাড়াও শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেছেন। এগুলো ছিল মূলত জ্বর, সর্দি, কাশি এবং এন্টিবায়েটিক। বাড়িতে আসার পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে পর্যাপ্ত পরিমানে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করেছেন এবং হালকা গরম পানি পান করেছেন। ঘরে বসেই নিয়মিত চা পান করেছেন তিনি। হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা এবং গরম লবণ পানির গড়গড়া সুফল পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় তার নিজ পরিবারের সদস্যরা এবং তার কর্মস্থলের সবাই অনেক খুশি হয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। […]