দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে অর্থ প্রতারণার অভিযোগ
নিরেন দাস,জয়পুরহাট,জেলা প্রতিনিধিঃ-
Facebook Twitter share
জয়পুরহাটের প্রাথমিক দুই শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে চাকরির প্রলোভন দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
Surjodoy.com
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ এবং পাঁচবিবি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সহকারী শিক্ষক আমানউল্লাহর বিরুদ্ধে তিন ভুক্তভোগী নারীদের পরিবার সোমবার (১৪ জনু) সকাল ১২ টায় জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন।
The Daily surjodoy
অভিযোগকারী ওই তিনজন নারী হলেন, আক্কেলপুর উপজেলার কাঁশিড়া লক্ষ্মীভাটা গ্রামের মাহবুব আলমের স্ত্রী আলেয়া বেগম, এরশাদুল হকের স্ত্রী শারমিন আক্তার ও জয়পুরহাট সদরের জয়পার্বতীপুর দক্ষিণ কান্দি গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদের মেয়ে নুরুননাহার।
The Daily surjodoy
এদের পক্ষে শারমিন আক্তার লিখিত অভিযোগ পাঠ করে অভিযোগে বলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার জিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াদুদ ফাররোখ ও পাঁচবিবি উপজেলার ঢাকার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি শিক্ষক আমানউল্লাহ ২০১৭ সালে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরীর প্রলোভন দিয়ে প্রত্যেকের কাছে ছয় লক্ষ টাকা চায়।
The Daily surjodoy
অগ্রীম বাবদ প্রতারণামূলক ব্যাংকের চেক দিয়ে সাড়ে পাঁচ লক্ষ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এর মধ্যে ওয়াদুদ ফাররোখ শারমিনের নিকট হতে দেড় লক্ষ ও নুরুননাহারের নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছেন এবং আমানউল্লাহ আলেয়া বেগমের কাছে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন।
The Daily surjodoy
এরপর আক্কেলপুর মুজিবুর রহমান কলেজের পেছনে একটি শিশু কল্যাণ স্কুলও চালু করে দেয়। দেড় বছর স্কুল চলাকালীন প্রতিমাসে ৬ হাজার টাকা ভাড়া ভুক্তভোগীরা দিয়েছে। চাকরি দিব-দিচ্ছি বলে তালবাহানা করে এবং তাদের অর্থ না দিয়ে নানা রকম হুকমি দেয়। তারা গত ৩১ মে ২০২১ তারিখে জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
The Daily surjodoy
এছাড়াও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা আরও একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রতারণা করে আসছেন।
এ ব্যাপারে ওয়াদুদ ফাররোখ মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রতিষ্ঠান করার জন্য টাকা নিয়েছিলাম। চাকরি দেওয়ার জন্য নয়। তারা যা অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমানউল্লাহ বলেন, শুধু আমি না এখানে ওয়াদুদ মাস্টারও আছে। তাদের কাছ থেকে শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় করার জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে।
The Daily surjodoy
জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এসএম তৌফিকুজ্জামান বলেন, অভিযোগের তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।