বিশেষ প্রতিনিধিঃ- শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস
দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকায় গত ২২ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার সিসি টিভির ফুটেজ ও নির্বাহী অফিসারের মুঠোফোনের বক্তব্যে “আদমঘীঘির ইউএনওর দেহরক্ষী দুই আনসার সদস্য ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ” এ নামে সংবাদ প্রকাশের পরেই টনকনড়ে নির্বাহী অফিসার সীমা শারমীন এরপরই এতোবড় বিষয়টি ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জেমসকে পুলিশ দিয়ে পরিষদে দিয়ে ডেকে নিয়ে হাতধরে মিমাংসার মাধ্যমে ধামাচাঁপা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গত ১৭ এপ্রিল বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা নিবাহী অফিসার সীমা শারমীনের দুই দেহরক্ষী আনসার সদস্যরা একজন সাংবাদিককে নিয়ে অস্ত্র সাথে নিয়ে অবৈধ্যভাবে উপজেলার চাঁপাপুর বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল জরিমানার ভয় দেখিয়ে তিন হাজার টাকা চাঁদা আদায়ের এতোবড় ঘটনাটি পুলিশ দিয়ে ডেকে এনে ধামাচাপা দিলেন ইউএনও সীমা শারমীন।
এদিকে চাঁদাবাজীর এঘটনার সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি নিয়ে গত ২২ এপ্রিল সন্ধায় দৈনিক সূর্যোদয় ইউএনও সীমা শারমীনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তদন্ত চলছে যদি তারা তদন্তে প্রমাণিত তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এভাবে ধামাচাঁপা দেয়ায় এলাকায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনকে কেন্দ্র করে আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী দুই দেহরক্ষী আনসার সদস্য রাকিবুল ইসলাম ও হাফিজ উদ্দিন ইউএনওকে ছাড়াই কতিপয় একজন সাংবাদিককে সাথে নিয়ে ওই দুই আনসার সদস্য সর্টগান অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গত ১৭ এপ্রিল শনিবার উপজেলার চাঁপাপুর বাজারে যায়। লকডাউনে দোকানপাট খোলা কেন এমন বিষয় নিয়ে সেখানে বিভিন্ন মার্কেটে ও দোকানপাটে তারা হানা দেয়।
ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ভীতিকর অবস্থা এবং ত্রাস সৃষ্টি করে। দোকানে দোকানে শুরু করে চাঁদাবাজি। তাদের তৎপরতা দেখে এসময়ে জটলা করতে থাকে উৎসুক জনতা। এদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক জেমস নামের এক ব্যবসায়ীও ছিল। সে তার মুঠোফোনে চাঁদাবাজির চিত্র ধারণ করছে এমন সন্দেহে তাকে ধরে ফেলে আনসার সদস্যরা।
এক পর্যায়ে বেধরক কিলঘুষি চড়-থাপ্পড় মেরে টেনে হিঁচড়ে মোটর সাইকেলে করে বাজার থেকে কিছু দুরে নিয়ে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানার ভয় দেখিয়ে তিন হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে ছেড়ে দেন।
এঘটনাটি দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকাসহ বিভিন্ন গনসাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশসহ the
daily surjody পেজ থেকে সেই মারপিটের ঘটনাটির সিসি টিভি ফুটেজে চিত্রটি প্রচার করা হলে তা ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়লে উল্টো অভিযুক্ত আনসার সদস্য রাকিবুল ইসলাম ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী রাজ্জাকের নামেই থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে আদমঘীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জালাল উদ্দীন,দৈনিক সূর্যোদয়সহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন,থানার তদন্তকারী অফিসার ফজলুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন।
এদিকে ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত বৃহস্পতিবার পুলিশ দিয়ে ফোনে আমাকে ডেকো নেয় উপজেলা পরিষদে সেখানে ইউএনও সীমা শারমীন, থানার ওসি জালাল উদ্দীনের উপস্থিতে হাত ধরে মিমাংসা করে দেয়।
এব্যাপারে আদমঘীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন বলেন, গত ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত আনসার সদস্যরা নির্যাতিত ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জেমস এর নিকট করা অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করার মাধ্যমে সংঘটিত ঘটনার আপোষ-মিমাংসা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই দুই আনসার সদস্যকে ক্যাম্পাস ডিউটির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ার পরেও একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়াই এবং ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক জেমস সঠিক বিচার না পাওয়ায় চরম সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিস্তারিত আরও আসছে—-
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..