নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুর্নীতি দমন কমিশনের নওগাঁ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে এক অভিযান পরিচালনা করেছে।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে দুদকের নওগাঁ শাখার কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমানের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান জেলার পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার ও হেড ক্লার্কের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে ঔষধ না কিনে বাহিরের কম দামি ঔষধ কিনে অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে ভাউচার সৃজনপূর্বক সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। তারই প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় নওগাঁ হতে ০৩ (তিন) সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে। তাৎক্ষণিক অভিযানকালে ঔষুধ প্রাপ্তির পর সঠিকভবে স্টক লেজারে না উঠানো ও কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নির্ধারিত সময়ের আগে অফিস ত্যাগ করার জন্য উক্ত অফিসের ০৪(চার) জন কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সে প্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উপরোল্লিখিত কারণে তাদের শোকজ করেন।শোকজ প্রাপ্ত কর্মচারীরা হলেন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (রেডিও গ্রাফার) বেদারুল ইসলাম,( ডেন্টাল) জারজীস রহমান, ফার্মাসিস্ট সৈয়ুবুর রহমান, ষ্টোর কিপার সাইফুদ্দিন।
সূত্র আরো জানায় শুধু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই নয় যে কোন দপ্তরের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সেইসব অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে দুদক সব সময় প্রস্তুত আছে। তাই সঠিক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য দিয়ে দুদককে সার্বিক সহযোগিতা করতে সমাজের সকল শ্রেণির সচেতন মানুষদের প্রতি তিনি আহবান জানান।