মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে প্রেমের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নির্যাতন ও উক্ত স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনার ছয়জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা সলিম উদ্দিন শাহ বাদী হয়ে রবিবার মান্দা থানায় মামলাটি করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম সাদ্দাম হোসেন (২৮)। তিনি মান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের কয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজ শাহের ছেলে।
মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা সলিম উদ্দিন শাহ বলেন, মেয়ে বেবী আক্তারের সঙ্গে আসামি শামীম হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়। এ অজুহাতে গত বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মেয়ে বেবীকে প্রতিবেশী মোজাফফর হোসেনের বাড়িতে কৌশলে ডেকে নেন আসামিরা। সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে আসামি সাদ্দাম হোসেন তাঁকে নির্যাতনসহ শ্লীলতাহানি করেন। এ অপমান সইতে না পেরে ওই রাতেই সকলের অগোচরে বিষপান করে সে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মেয়েকে আর কোনো দিন ফিরে পাব না। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রী বেবীর মৃত্যুর ঘটনার তাঁর বাবা সলিম উদ্দিন শাহ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে সাদ্দাম হোসেন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের দীঘিরপাড়া গ্রামের চয়নুল ইসলামের ছেলে শামীমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, এমন অজুহাত এনে স্কুলছাত্রী বেবী আক্তারকে (১৫) নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করা হয়। এ অপমান সইতে না পেরে সে বিষপান করে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
মৃত বেবী আক্তার মান্দা সদর ইউনিয়নের খাগড়া উত্তরপাড়া গ্রামের সলিম উদ্দিন শাহের মেয়ে ও মান্দা এসসি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।