সুবীর দাস, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় মাদকের মামলায় পুত্র লিটন ইসলামকে জামিন করাতে এসে জাল চিকিৎসা সনদ দাখিলের জন্য পিতা রশিদুল ইসলামকে আটক করে শ্রীঘরে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত বৃহস্পবিবার দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার রশিদুল ইসলামকে আটকের আদেশ দেন।
আটককৃত রশিদুল ইসলাম ঠাকুরগাঁ জেলার সদর উপজেলার কালিকাগাঁও গ্রামের মৃত আছউদ্দীনের ছেলে। রবিবার দুপুরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার জাল চিকিৎসা সনদ দাখিলের জন্য আটককৃত রশিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নিদের্শ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগষ্ট ২০২০ই তারিখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার জালুয়া পাড়া নামক স্থানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ হতে আসা একটি বাস তল্লাশী করে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা মুল্যমানের ৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ লিটন ইসলামকে আটক করে।
লিটরেন মামলাটি অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারধীন রয়েছে। এদিকে চলতি বছরের গত ২৩ মার্চ আসামী লিটনের মা হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত দাবী করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেস্ট ডাক্তার হাবিব-ই রসূলের একটি চিকিৎসা সদন আদালতে দাখিল করে লিটনের পক্ষে জামিনের প্রার্থনা করেন আইনজীবী শুভ্র সাহা।
আইনজীবী শুভ্র সাহা আদালতে বলেন, আসামীর মা মরণাপন্ন তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানন্তরের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিষয়টা স্পর্শকাতর দাবী করে মাকে দেখার জন্য আসামী লিটনের জামিন চেয়ে আদালতে অনুকম্পা প্রার্থনা করেন। অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদারের বিষয়টি সন্দেহ হলে আদালত থেকে নেমে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের টেলিফোন নম্বারে যোগাযোগ করে ডাক্তার
হাবিব-ই রসূলকে মোবাইল ফোনের হোয়াটস এ্যাপের মাধ্যমে মেডিকেল সনদটি দেখানো হলে তিনি জানান চিকিৎসা সনদটি তার ইস্যুকৃত না। এর প্রেক্ষিতে আইনজীবী শুভ্র সাহ কে জাল জালিয়াতিমুলক মেডিকাল সদন দাখিলের জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়।
এবং গত বৃহস্পতিবার আইনজীবী ও আসামী লিটনের বাবাসহ আদালতে মূল চিকিৎসা সদন নিয়ে হাজির হলে শুনানি শেষে লিটনের বাবাকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..