মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর ইউনিয়ন থেকে সাদেককেই ফের ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। চেয়ারম্যান সাদেক উদ্দিনকেই জনগণ আগামী ইউপি নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো দেখতে চায়। তাই তিনিই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী এমন গুঞ্জনই এখন নজিপুর ইউনিয়নের সাধারণ জণগনের মুখে মুখে।
সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তার অতীত রাজনৈতিক জীবন এবং ভবিষ্যতে এলাকার রাজনীতিতে নিজের অর্জন-পরিকল্পনার কথা জানান। অন্যদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মত যোগ্য প্রার্থী নেই বলে দাবি এলাকাবাসী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।
এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহকালে জানা যায়, আগামী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জননেতা সাদেক উদ্দিনকেই ফের ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এখানকার উঠতি ভোটাররা। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপের মাধ্যমে এমন তথ্য জানা গেছে। তাদের মতে তরুণ এই আওয়ামী লীগ নেতা এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ.সভাপতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিপুল ভোটের ব্যবধানে গতবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে নিজেকে টেনে নিয়ে এসেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাইতো নিজ দলীয় কর্মী-সমর্থকসহ এলাকাবাসীর অধিক আগ্রহের কারণেই মনস্থির করেছেন আগামী ইউপি নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হয়ে হেট্রিক জয়ের।
জানা গেছে, এবারও নৌকার মাঝি হিসেবে সাদেক উপযুক্ত তাই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে, এলাকার আওয়ামী লীগের, সাধারণ কর্মীরা দাবি করেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে সাবেক ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনিল চন্দ্র মহন্ত বলেন, এর আগে ১৫ বছর আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি কিন্তু নজিপুর ইউনিয়নে কোন চেয়ারম্যানের তেমন উন্নয়ন আমি দেখতে পারি নাই, কিন্তু সাদেক উদ্দিন চেয়ারম্যান হবার পর আমাদের ইউনিয়নে নতুন নতুন রাস্তা তিনি করে দিয়েছেন । তিনি যে ইউনিয়নের উন্নয়ন করেছেন তা দেখার মতো। সাদেক উদ্দিন আবারো চেয়ারম্যান হবার যোগ্য বলে আমি মনে করি।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সদস্য মানিক বলেন, ইউনিয়নের সামাজিক উন্নয়ন ও রাষ্ট্রীয় নানা উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। তিনি চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্ব গ্রহনের পর এলাকার হতদরিদ্র পরিবার ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন সব সময়। এবং নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করেছেন এছাড়া এলাকাবাসির যেকোনো বিপদ আপদে সব সময় সহোযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়ে আসছেন তিনি। তিনি গরীব ও অসহায় মানুষের সুখে দুঃখে বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করেন। এজন্য তিনি এলাকার মানুষের কাছে একজন প্রিয় মানুষ হয়ে উঠেছেন। মানুষের জন্য ভাল কাজ আর বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার জন্য তিনি দিনে দিনে স্থানীয় গণমানুষের মাঝে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা ওনাকেই নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে সাদেক উদ্দিন বলেন, আমার পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুসারী ছিলেন বলে স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন বাধা পাইনি। কলেজ পর্যায়ে থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সক্রিয় কর্মী ছিলাম। ২০১২ সালে আমি নজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হই।
এলাকার মানুষ অন্য প্রার্থীদের চেয়ে আপনাকে কেন এগিয়ে রাখবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সাদেক উদ্দিন বলেন, এক একজন নেতার এক এক ধরনের চারিত্রিক গুণ থাকে, সেটা নিতান্তই আলাদা। এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো তাদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। বিশদ ব্যাখ্যায় না গিয়ে আমি বলবো, এলাকার মানুষ চায় আমি যেন তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে আবারো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। আমি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করেছি। মানুষের সুখে দু:খে পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। তাই তারা আমাকে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আমি ধামইরহাট-পত্নীতলা গণমানুষের নেতা শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু ভাইয়ের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনীতি করি। তাই অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে কাজ করি। নেতাকর্মীদের সবসময় কাছে থাকার চেষ্টা করি, তাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখি। তারা আমাকে ভালোবাসে বিধায় পুনরায় চেয়ারম্যান দেখতে চায়।