তৈহিদূল ইসলাম সরকার :
ময়মনসিংহের-নান্দাইলে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুপক্ষের মারামারি সংঘর্ষে আঃ রাজ্জাক (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের আত্নারামপুর গ্রামে গত (সোমবার) রাত ১১:টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সে একই গ্রামের মৃত মাইজ উদ্দীনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্নারামপুর গ্রামের আওয়ালের ছেলে আলম মিয়া বছর খানেক পূর্বে একই উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল।
এই বিষয়ে সমাধানের জন্য গতরাতে দশটার দিকে স্থানীয় মধুপুর বাজারে গ্রাম্য সালিশ দরবার অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কোন সমাধান না হওয়ায় উভয় পক্ষ বাড়ি ফিরে, আসার পথে আত্নারামপুর গ্রামে এসে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে এক পর্যায়ে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি,পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় দুপক্ষের মারামারি ফিরাতে আসে আঃ রাজ্জাক। এক পর্যায়ে পতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে তৎক্ষণাৎ তার স্বজনরা উদ্ধার করে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি করার পূর্বেই পথে মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের ভগ্নীপতি আঃ মোতালেব জানান,স্থানীয় জব্বার, সাইফুল ইসলাম গংদ্বয়, এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত।
নিহত আঃ রাজ্জাকের ছোট ছোট তিনটি সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে একটি সন্তান প্রতিবন্ধী এমন একটি নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আমরা এই ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি করছি।
এবিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার এস আই মোস্তাক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে এখনো কাওকে আটক করা যায়নি। আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।