করোনায় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানরাই নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। মুগদায় কিশোর হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৭ জনকে গ্রেফতারের পর এ তথ্য জানায় ডিবি। এদিকে রাজধানীর জুরাইনে পুলিশের সোর্স হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন সাতজন।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদায় সিগারেট খাওয়া ও সালাম না দেয়াকে কেন্দ্র করে হাসান নামে এক কিশোরকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল নেয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় মুগদা থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কিশোর গ্যাংয়ের সাত সদস্যকে আটক করে। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় পুলিশ।
ডিবি যুগ্ম কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কিছু কিছু তৎপরতা বেড়েছে। এ জন্য আমাদের বিট পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাতে করে এ ধরনের চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। এ ছাড়াও নিন্ম আয়ের পরিবারের সন্তানরাই বেশি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
এদিকে রাজধানীর জুরাইনে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেন নামে পুলিশের এক সোর্সকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রোববার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জাকির হোসেন হত্যা মামলায় সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজধানীতে প্রতি মাসে ১৫-২০টি হত্যার ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।