আলী আজগর পনির ,নেত্রকোনা জেলাপ্রতিনিধি
নেত্রকোনার কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের মেম্বার, পদপ্রার্থী আলামিন, এর দুই দিনের মেয়ে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে । গত ১৩/১০/২১ তারিখ, নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কর্তব্যরত ডাক্তার শ্বাসকষ্টের কোন চিকিৎসা সেবা না দিয়েই। বাচ্চাকে বেশি, বেশি বুকের দুধ, খাওয়ার কথা লিখে দেয়। বলে, ঠিক হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় ওই এলাকার ৬ নং ওয়াডের মেম্বার প্রার্থী আলামিন, তার বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে রাতের বারোটার দিকে, শিশু সন্তানের মৃত্যু হয় । জানা যায়, দুইদিনের শিশুটি কন্যা সন্তান ছিল । ওই এলাকার হালিম শেখ বলেন। নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে আমরা যাই না। কারণ ওরা ডাক্তার না কসাই । ইমারজেন্সিতে রোগী দেখাইলে উপরি টাকার জন্য চিল্লাচিল্লি করে, অপমান করে । তাদের খুশিমতো৷ উপরি টাকা না, দিলে গায়ে হাত তুলতে চায়,ও ভয় দেখায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন, জানায়, নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে উপরি টাকা না দিলে। সাধারণ রোগীকেও রেফার্ড করে দেয়।
বলে, আমরা দেখতে পারবো না।। কিন্তু উপরি টাকা দিলেই পাওয়া যায় সেবা।তারা সব পারে, কিন্তু উপরি টাকা ছাড়া করবে না। কোন কোন ডাক্তার আবার প্রাইভেটের রোগী দেখে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দাঁতের ব্যথায় সদর হাসপাতালে গেলে প্রাইভেটে যাওয়ার কথা বলে। ওইখানে তার নিজস্ব চেম্বার । কিন্তু, জানা যায় ওই ডাক্তার বিডি, এস নয়,টেকনিশিয়ান হাসপাতালে চাকরি করে বাহিরে খুলে বসেছেন।রমরমা দাঁতের চেম্বার । এমনও নানান দুর্নীতি নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ।
ভুক্তভোগী আলামিন বলেন আমার দু, দিনের শিশু সন্তানের, অবস্থা ভালো না দেখে, নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ইমারজেন্সিতে পরে১০৯ নংএ নিয়ে যাই কিন্তু ডাক্তার বলেন, কোন সমস্যা নেই। শুধু বুকের দুধ খাওয়ালে সেরে যাবে। কিন্তু, আমার সন্তান মারা যায়। আমি এর বিচার চাই । আমি লিখিত অভিযোগ করতে হলে করব। যেন আমার মত কেহ সন্তান হারা না হয়।
নেত্রকোনা জেলার সিভিল সার্জন ড.সেলিম মিয়া বলেন, বিষয়টি শ্বাসকষ্ট রোগীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করার উচিত ছিল।বা অন্য কোন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর উচিত ছিল। আসলে কাজটা ঠিক হয় নাই। অফিসার তত্ত্বাবধানে যারা আছে তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলব । শুধু বুকের দুধ খাওয়ানোর কথা বলার কাজটা ঠিক হয় নাই। রোগীর প্রতি অবহেলা করা হয়েছে। বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নাই তিনি বলেন, তিনি আরো বলেন আপনি তত্ত্বাবধানে থাকা ড. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন .।