ডেস্কঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সুমন মিয়া (২৫) শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা নেয়ার পথে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। সুমন মিয়া ত্রিয়শী ইউনিয়নের বালালি গ্রামের মৃত সবুজ তালুকদারের ছেলে।
শুক্রবার দুপুরে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পূর্বের মারামারির ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি থাকা নারীকে দেখতে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
মদন থানার ওসি মো. রমিজুল হক জানান, হামলায় আহত সুমন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার হামলা ঘটনায় সুমনের ভাই পলাশ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে হামলায় জড়িত থাকা পাঁচজনকে আটক করা হয়েছিল। দায়ের করা ওই মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে বলেও জানান ওসি।
মদন থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালালী গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত ৬ জুন একই গ্রামের আবদুল গণি বেচুকে দৌলতপুর কালিবাড়ি মোড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে। পরে আব্দুল গণি বেচু মিয়ার লোকজন ইউপি সদস্য রিয়াজ আহমেদ সোহেলের বৃদ্ধ মার হাত ও আঙ্গুল ভেঙে দেয়। এরই জেরে সোহেলের খালাতো ভাই সুমন আহত খালাকে দেখেতে মদন হাসপাতালে যান।
ফিরে যাওয়ার পথে হাসপাতালে থাকা বেচু মিয়ার ছেলে সানিসহ কয়েকজন হামলা চালিয়ে তার হাতের কবজি, বুকে পিঠে, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বেচু মদন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাক্তার ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু জানান, সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে ফুসফুসেও আঘাত লাগায় আমরা তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহে প্রেরণ করি। তবে হাসপাতালের চত্বরে এমন ঘটনায় তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। ডাক্তাদের এবং অন্যান্য রোগীদের জন্যও এমন ঘটনা এক ধরনের আতঙ্ক।