এটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইলিশকোল গ্রামের কাছেদ আলী খানের গরুর খামারের দেড় হাজার কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের নাম। কোনো প্রকার কৃত্রিম খাদ্য ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে সযত্মে লালন-পালন করে বড় করেছেন কৃষক কাছেদ আলী খান। আসন্ন কোরবানির ঈদে ন্যায্য মূল্য পেলে ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে চান তিনি। প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ষাঁড়টিকে এক নজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। তারা ষাঁড়টিকে দেখে খুশি হয়ে প্রশংসাও করছেন।
কালা পাহাড়ের মালিক কাছেদ আলী খান বলেন, ২০১৫ সালে খামারের পালের গাভির গর্ভে জন্ম নেয় শংকর প্রজাতির এ ষাঁড়টি। মা গাভিটির দুধ খুব পাতলা হওয়ায় সেই দুধ কিনতে চাইতো না কেউ। ফলে গাভিটির পুরো দুধই পান করতে দিতাম বাছুরটিকে। প্রতিদিন প্রায় ২৫ লিটার দুধ পান করতো বাছুরটি। এভাবে মায়ের সব দুধ পান করে এক বছরের মাথায় বিশাল কালো পাহাড়ে পরিণত হয় বাছুরটি।
কাছেদ আলী খান আরো বলেন, জন্মের পর থেকে কালা পাহাড় যে দুধ ও খাবার খেয়েছে, ষাঁড়টি যত টাকায়ই বিক্রি করি না খরচের টাকা উঠবে না। এখনো ষাঁড়টি প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার টাকার প্রাকৃতিক খাবার খায়। গত কোরবানির ঈদে ১১ লাখ টাকা দাম উঠলেও ষাঁড়টি বিক্রি করিনি। এবার ন্যায্য মূল্য পেলে বিক্রি করতে চাই। যদি কোনো সৌখিন ব্যক্তি ষাঁড়টিকে ক্রয় করেন তাহলে প্রয়োজনে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত নিজ খরচে লালন-পালন করে তার বাড়িতে পৌঁছে দিব।
কালা পাহাড়ের ব্যাপারে রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, খামারি কাছেদ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়েই ষাঁড়টিকে এত বড় করেছে। বর্তমানে ষাঁড়টি রাজবাড়ী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়।