নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভা নির্বাচন। এই দু’টি পৌরসভায় কারা হবেন পরবর্তী মেয়র তা নিয়ে চলছে সর্বত্র আলাপ-আলোচনা। কে পরবেন বিজয়ের মালা, সেই অপেক্ষায় ভোটাররা। ৩০ জানুয়ারি। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভায় দুই বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয়ের পথ সুগম হয়েছে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী দলীয় নেতাকর্মীরা। তবে বিএনপির দুই প্রার্থী ও সমর্থকদের দাবি, সুষ্ঠু ভোট হলে নড়াইল এবং কালিয়ায় ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন। এখন ভোট গণনা পর্যন্ত অপেক্ষার পালা, কে পরবেন বিজয়মালা। আজ (শনিবার) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি বেশ কম।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নড়াইল পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জুলফিকার আলী মন্ডল। এছাড়া মাঠে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা খায়রুজ্জামান (হাতপাখা প্রতীক)।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সরদার আলমগীর হোসেন গত ২৫ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আঞ্জুমান আরাকে সমর্থন দিয়েছেন।
এছাড়া নড়াইল পৌরসভায় সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
নড়াইল পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ৭০৪ জন এবং নারী ভোটার ১৭ হাজার ৬০৯জন।
এদিকে, নড়াইলের কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন আওয়ামী মনোনীত প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হিরা এবং বিএনপি মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান মিলু।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মুশফিকুর রহমান লিটন গতকাল (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে নয়জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন প্রার্থী মাঠে আছেন।
কালিয়া পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৬হাজার ৩৮৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮হাজার ১৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৮হাজার ২৩৬ জন।