
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত করার ঘটনায় অসহায় ছাত্রীর পিতা বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে অবশেষে নড়াইল সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,একই ইউনিয়নের আব্দুল মাজেদ মোল্যার মেয়ের মোছাঃ শান্তা ইসলাম স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, স্কুলে যাতায়াতের পথে তার উপর কুদৃষ্টি পড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আবুল কালাম মোল্যার ছেলে বখাটে জুবায়ের মোল্যার। জুবায়ের তাকে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিল।
উত্যক্তের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তার পিতা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অভিযুক্তের পরিবারের কাছে ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান।
কিন্তু এতে অভিযুক্ত জুবায়ের মোল্যা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বখাটে জুবায়ের মেয়েটির পরিবারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার কল দিয়ে বিরক্ত করতে থাকে,বিরক্ত করার এক পর্যায়ে মেয়েটি জুবায়েরের নাম্বারটি ব্লাক লিস্টে রেখে দেয়। বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হওয়ায় মেয়েটিকে অপহরণের উদ্দেশ্যে রোববার (৫ জুলাই) বিকালে অভিযুক্ত জুবায়ের মোল্যা, নান্নু মোল্যার ছেলে রায়হান মোল্যা, একই গ্রামের হারুন মোল্যার ছেলে রাজু মোল্যা, জুলহাস ফকিরের ছেলে রাসেল ফকিরসহ আরো ৮-১০ জনকে সাথে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলার এক পর্যায়ে ঘুমন্ত মেয়েটিকে জবরদস্তি উঠিয়ে তার হাত ধরে টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসে।
তাকে ঘর থেকে বের করে নেওয়ার সময় তার স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়। মেয়েটিকে অপহরণ করার সময় তার আন্তচিৎকারে পাশ্ববর্তী মঞ্জুরা বেগম,আসমা বেগম,শিমুল,রুবেল মোল্যাসহ অনেকে দৌঁড়ে এসে অপহরণকারীদের হাত থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গেলে তারা উদ্ধারকারীদেরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। বখাটে জুবায়ের ও তার সঙ্গীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান,অভিযোগ পেয়েছি,।তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
এ জাতীয় আরো খবর..
[…] এস কে. রাসেল […]
[…] উজ্জ্বল রায়, পরিবার পরিজন ছেড়ে সাধারণ মানুষের জন্য এবারও ঈদে মাঠে-ময়দানে রাস্তায় কর্তব্য পালনে ব্যস্ত সময় পার করছে নড়াইল জেলা পুলিশ প্রশাসন,সমান তালে ব্যস্ত রয়েছে ট্রাফিক বিভাগ নড়াইল। দেশে বিদ্যমান করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে থানা ও ট্রাফিক পুলিশের সব ধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, কথা হয় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টদের সাথে। তারা জানান, প্রথম পরিচয় আমি ‘পুলিশ’ জনগণের সেবায় নিজের জীবনকে ঢেলে দিয়েছি,ব্যক্তিগত জীবন আমার কাছে মুখ্য না। জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি বিধান করাই আমার একান্ত নেশা ও পেশা। যখন যেখানে আমার প্রয়োজন হয় তখন সেখানেই ছুটে যাই,ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে খুব কষ্ট হতো কিন্তু এখন মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তিনি বলেন, আমাদেরকে কঠিন শৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করতে হয়,চেইন অব কমান্ড মেনেই প্রতিটি পা ফেলতে হয়। আমরা যেমন নিজেদের ইচ্ছায় ছুটি কাটাতে পারি না, তেমনি কোনো কাজও করতে পারি না,পুলিশের রুলস-রেগুলেশন যা আছে তা মেনেই কাজ করতে হয়। মানুষ যখন ঈদ আনন্দে মাতোয়ারা থাকে তখন কর্তব্যের খাতিরে রোদ-বৃস্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। এতে আমি হতাশ নই, বরং গর্বিত যে, দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তি জন্য কাজ করতে পারছি। দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের বিভাগের সকল ছুটি বাতিল হওয়ায় এবারও পরিবারের সাথে ঈদ করা হবে না,কর্মস্থলেই থাকতে হবে। পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব-কর্তব্য আছে,ঈদে আমি বাড়ি যেতে না পারলেও পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক পাঠিয়ে দিয়েছি। ঈদে স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মাকে রেখে কর্মস্থলে ঈদ করতে কেমন লাগে প্রশ্ন করলে বলেন, মন থেকে বলছি সবচেয়ে বেশি খুশি লাগে যখন আমি দেখতে পাই আমার দেশের মানুষ ধুমধাম করে উৎসব করছে। ডিউটি করার সময় যখন দেখি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা তাদের বাবা-মায়ের হাত ধরে বেড়াচ্ছে তখন আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই। তাছাড়া কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে আমরা যখন এসব অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি তখন পুলিশ সদস্য হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ব বোধ করি। অন্যের ভাল লাগা আর ভালবাসার প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে নিজের অপ্রাপ্তির কথাগুলো ভুলে যাই। এভাবেই ঈদ আসে ঈদ যায়,পরিবার ছেড়ে ঈদ করায় দুঃখ নেই বরং ঈদে দেশের সাধারণ মানুষের ঈদ উৎসব নির্বিঘ্ন করতে দায়িত্ব পালন করা আমার কাছে অত্যন্ত আনন্দের। ঈদ-উল-আযহায় নির্ধারিত স্থানে পশু কুরবানী করা, নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলা, ট্রাফিক আইন মেনে চলাচল করা এবং সবাইকে করোনা প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার আহবান জানান এবং ঈদ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন নড়াইল বাসিকে। […]