
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে ৩ ভাই কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা উদ্দেশে হামলা চালায় সন্ত্রাসী আলামিন। উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, এসময় গুরুতর আহত হন,এবিএম মাহামুদ হাসান,আলমাসুজ্জামান ও আলসামস বিশ্বাস।
আহত আলমাসুজ্জামান এ প্রতিবেদক কে জানান,আলামিন প্রয়ই আমাদের জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে হত্যা করার উদ্দেশে আমাদের খুজে বেড়াই এবং অকার্থ ভাষায় গালাগাল করে,আমার বড় ভাই বাহিরে ব্যবসা করে,আমি চাকরি করি আমার বড় ভাই এবিএম মাহামুদ হাসান দোকান বন্ধ করে দেয়ার কথা সুনে বাড়িতে আসে,আমি সহ আমরা ৩ ভাই চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে বিষয়টি যানাতে যাওয়ার সময়,পরিকল্পিত ভাবে ওৎপেতে থেকে (১০জুলাই) শুক্রবার সকাল ৮:০০ ঘটিকার সময় আমাদের ৩ ভাইকে হত্যার উদ্দেশে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং আমার প্যান্টের পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও একটি অপপো মোবাইল ফোন মূল্য ২০ হাজার টাকা,আমার ছোট ভাইয়ের একটি স্যামস্যাং মোবাইল ফোন মূল্য ২২ হাজার টাকা,আমার বড় ভাইয়ের পকেট থেকে একটি নোকিয়া ৭.১ মডেলের মোবাইল ফোন মূল্য ৩৪ হাজার টাকা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এসময় আমাদের আন্তচিৎকারে এলাকাবাসী এসে আমাদের আহত অবস্তায় উদ্ধার করে ইজিবাইক যোগে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত ও স্থানীয় সুত্রে আরো জানা যায়,আলামিন একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতীর মানুষ,অন্যের জমি নিজে জোর করে দখল করে নেয়ার চেষ্টা করে এবং সেই জমিতে ৪ টি দোকান ঘর রয়েছে এবং সেই দোকান ঘর ভাড়া দেয়া হয়।
সন্ত্রাসী আলামিন নিজের জমি দাবি করে ওই জমির জোর পুর্বক ২ টা দোকান বন্ধ করে দেয়,এরই ধারাবাহীকতায় মির্জাপুর ইউপি সদস্য সহ একাধীক ব্যক্তির কাছে অভিযোগ দেয়া হলে,মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনিসুর রহমান নিজ মির্জাপুর বাজারের অফিসে বসে শালিসের মাদ্ধমে মিমাংশা করে দেন এবং মিমাংশা মানেন না আলামিন।
শালিস না মেনে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি ধামকি দেয় আলামিন।
এবিষয়ে বড় ভাই এবিএম মাহামুদ হাসান চেয়ারমম্যানের কাছে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে মর্মে অভিযোগ করতে জাওয়ার সময় চৌরাস্তার মোড়ে পরিকল্পিত ভাবে ৪-৫ জন ওৎপেতে থেকে,কেন চেয়ারম্যানের কাছে নালিশ করতে যাচ্ছি ও পুলিশের কাছে কেন অভিযোগ করলাম বলে অকার্থ ভাষায় গালাগালসহ আলামিন বলে ওই শুয়ারের বাচ্চাকে মেরে ফেলবো বলে,লোহার রড,স্বাবল,বাশের লাঠি দিয়ে হামলা করে।
নাম পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধীক ব্যক্তি এ প্রতিবেদক কে জানান,আলামিন একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতীর লোক গ্রামে মুরুব্বিদের ও সন্মান করতে জানেনা তাদের সাথেও বেয়াদবি ও খারাপ ব্যবহার করে।
এরা কয় ভাই খুব নরম ও সহজ সরল মানুষ কোন গেনজামের মধ্যে কোন দিন যায় না,তার পরেও আলামিন এবিএম মাহামুদ হাসান ভাই সহ ৩ জনকে বেধড়ক ভাবে জখম করেছে এটা খুবই কষ্টদায়ক বলেও জানান।
আরো জানা যায়,জমিটা এবিএম মাহামুদ হাসানদের কিন্তু জোর করে দখল করতে চাই আলামিন,জমি যদি আলামিনের হয় তাহলে জমির দলিল দেখালেই তো হয় কিন্তু জমির দলিল দেখায় না আলামিন।
হামলাকারী ১/ আলামিন বিশ্বাস (৪২) পিতা মৃত,গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, গ্রাম,মির্জাপুর, ২/ গাজী মতিন (৩০) পিতা,আকমল গাজী,গ্রাম,মির্জাপুর,৩/গাজী মামুন(৩৫),পিতা মৃত,আমিন গাজী,মির্জাপুর, ৪/মো:লিয়াকত হোসেন(মাসুম)(৫০) পিতা মৃত,গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস,গ্রাম,মির্জাপুর থানা-জেলা নড়াইল দের বিরুদ্ধে আল মাসুজ্জামান নড়াইল সদর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন বলেও জানান আহত আলমাসুজ্জামান।
এ জাতীয় আরো খবর..
[…] উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়াডাঙ্গা গ্রামে বুধবার সকালে দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে মাসুদ রানা (৩৫) নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হয়েছেন।নিহত মাসুদ রানা দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের আলী আকবর শেখের ছেলে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, এ সময় নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন ১০জন।নবগঙ্গা নদীর চরের বালি কাটাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নবগঙ্গা নদীর চরের বালি কাটাকে কেন্দ্র করে দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের কাজল মোল্যা সমর্থিত লোকজনের সঙ্গে আমিনুর শেখ সমর্থিত লোকজনের দ্ব›দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল।বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কাজল মোল্যা সমর্থিত লোকজন চরের বালি কাটতে গেলে আমিনুর শেখ সমর্থিত লোকজন তাতে বাঁধা দেয়।এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে আমিনুর শেখ সমর্থিত মাসুদ রানাসহ ৭জন গুলিবিদ্ধ হন। দেশীয় ধারোলো অস্ত্রের আঘাতে ৩জন আহত হয়েছেন।স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে আনার পর তিনি মারা যান।আহতদের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নড়াইল সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম আরো জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫জনকে আটক করা হয়েছে।বাকি জড়িতদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।লাশের ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি। […]