1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পঞ্চম দফা বন্যায় চরাঞ্চলের খামারিরের গো-খাদ্য সংকট!
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ১০:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে ১৪ পিছ বিদেশী স্বর্নের বার সহ আটক ১ সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ছেড়ে দিয়েছে আদালত আওয়ামীলিগের সময়ে আওয়ামীলিগের নেতা , বিএনপির সময়ে বিএনপির নেতা সেজে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা ! নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলজিইডি কুমিল্লার মতবিনিময় কলেজ ছাত্র আব্দুল আলীম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ! সাভারে বিরুলিয়ায় নিহত নারী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা : স্বামী গ্রেফতার । ফেসবুকে মানহানিকর লেখা প্রচারের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার মানহানি এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন এক নারী। চোর সদস্যকে পুলিশে দেয়ায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউপি সদস্যের বাড়িতে পালতক চোরদের হামলা ও মারধর, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুরুতর আহত এক সাংবাদিক। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২৮ এপ্রিল 

পঞ্চম দফা বন্যায় চরাঞ্চলের খামারিরের গো-খাদ্য সংকট!

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ অক্টোবর, ২০২০, ১১.৪২ পিএম
  • ২৪৬ বার পঠিত
রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও  কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ফের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে লালমনিরহাট।এতে গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে জেলা জুরে।
শুকনো খড় পচে নষ্ট হওয়ায় এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার ফলে গবাদি পশু নিয়ে ক্ষুদ্র খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। তিস্তা ও ধরলা নদীবেষ্টিত জেলা লালমনিরহাটের ৫ টি উপজেলার অর্ধশত চরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবার গবাদি পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেকেই গবাদি পশুর ছোট ছোট খামার গড়ে তুলেছেন। এসব পশুর খাদ্যের জন্য ধান মাড়াই শেষে ধানগাছ শুকিয়ে খড়ের গাদা করে মজুদ রাখা হয়, যা সারা বছর গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
চলতি বছর জুন মাসের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ও দফায় দফায় বন্যায় চাষিদের খড়ের গাদা পানিতে ডুবে পচে নষ্ট হয়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় সব পরিবারের সঞ্চিত গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে, গো-খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা বাড়ায় জেলার বিভিন্ন বাজারে মৌসুমি কিছু ব্যবসায়ী খড় বিক্রি শুরু করেছেন।
তারা পার্শ্ববর্তী জেলার উঁচু অঞ্চল থেকে খড়ের গাদা কিনে ছোট ছোট পুঁটলি তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন। কম পুঁজির খামারি বা কৃষকরা এসব পুঁটলি কিনে সামান্য পরিমাণে খাবার হিসেবে দিয়ে গরুগুলোকে কোনো রকমে বাঁচিয়ে রেখেছেন। বয়স্ক একটি গরুর জন্য দৈনিক খড় লাগে একশ’ টাকার এবং দানাদার ও পানীয় খাদ্যে ব্যয় হয় আরও একশ’ টাকা। সবমিলে গরু প্রতি দৈনিক ২০০ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে সংকটের কারণে পরিমাণ মতো খাদ্য না পেয়ে অনেক গরু হাড্ডিসার হয়ে গেছে। ফলে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা। কিছুদিন আগে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া লাম্পিং স্কিন রোগের চিকিৎসা করতে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন খামারিরা।
 এরই মধ্যে খাদ্যের সংকটে পড়ে তারা আরও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে, ভুষি, চালের গুড়াসহ বিভিন্ন দানাদার গো-খাদ্যের দামও লাগামহীন ভাবে বেড়ে চলছে। প্রতি বস্তা ভুষি ১২/১৩শ’ টাকা থেকে বেড়ে ১৭/১৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধানের গুঁড়া (৫০ কেজি) প্রতি বস্তা ৪শ’ টাকা থেকে বেড়ে ৫শ’ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগ অভিযান চালিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে খামারিদের অভিযোগ রয়েছে।
করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে অনেক হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় দুধের চাহিদা অনেকাংশে কমে গেছে। ফলে দুগ্ধ খামারগুলো অর্থ সংকটে পড়েছে। একদিকে দুধের দাম কম এবং অন্যদিকে গো-খাদ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। খাদ্য কম থাকায় দুধের উৎপাদনও কমেছে। লোকসানের আশঙ্কায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন জেলার খামারিরা। জেলার উঁচু অঞ্চলের বড় খামারিরা ঘাসের চাষ করলেও নদী অঞ্চলের খড় নির্ভর ক্ষুদ্র খামারিরা গো-খাদ্য নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। খামার ধরে রাখতে চরা দামে উঁচু অঞ্চল থেকে খড় কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বন্যা ও নদী ভাঙনে দিশেহারা এসব খামারি পরিবার নিজেদের খাদ্য যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় গো-খাদ্য কেনা তাদের জন্য অনেকটাই অসম্ভব। কেউ কেউ চরা সুদে দাদন ব্যবসায়ীর কাছে ঋণ নিয়ে খামার ঠিক রাখছেন। অনেকেই খাদ্যের যোগান দিতে না পেরে পোষা গরুগুলো বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু জেলার বাজারে গরুর আমদানি বাড়ায় ও ক্রেতা কম থাকায় কম দামে গরু বিক্রি করছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইদুর রহমান জানান,‘ঘন ঘন বৃষ্টি ও বন্যার কারণে খামারিদের সঞ্চিত খড়ের গাদা পচে নষ্ট হওয়ায় গরুর শুকনো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের সরবরাহ করা চারায় লাগানো কাঁচা ঘাস ও মাঠের আইল থেকে কাঁচা ঘাস সংগ্রহ করতে খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দানাদার খাদ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গো-খাদ্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ অহেতুক খাদ্যের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আমন ধান ঘরে আসলেই এ সংকট কেটে যাবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews