দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ১১৪ সংসদীয় আসন পটুয়াখালী-৪ এ এই প্রথম কোন চিত্রশিল্পী, কবি, গ্ল্পকার, নাট্যকর্মি, বাচিক শিল্পী, কলামিস্ট ও সূফি গবেষক। এবার তিনি ভোট যুদ্ধে জনপ্রতিনিধি হয়ে গণ মানুষের সেবা করতে চায়। চেহারা সুরতে আপদমস্তক একজন শিল্প সংস্কৃতীর মানুষ মনে হলেও যানা যায় তাঁর রাজনৈতিক হাতে খড়ি ১৯৮৭ সনে জাতীয় ছাত্রলীগ (বাকশাল) এর মাধ্যমে। পরে বাকশাল- আওয়ামীলীগ একাত্বতা ঘোষণা করলে যুক্ত হন আওয়ামীলীগ এ।
১৯৯৬- ১০১৪ সন এ দীর্ঘ ১৮ বছর প্রবাস জীবনে কুয়েত শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের তিনি ছিলেন যুগ্ন সাধারন সম্পাদক। ২০১৪ সালে স্থায়ী ভাবে দেশে ফিরে কি যেনো এক অজানা কারনে আর রাজনীতির ছায়া মারাননি। সম্প্রতি তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ কংগ্রেসে।
১৯৯৬সনে কুয়েতের বিখ্যাত একটি আর্ট গ্যালারী “ফানাতিক” কোম্পানিতে প্রথম কোন বাঙালি চিত্রশিল্পী হিসেবে এই পটুয়া জাহাঙ্গীর রিক্রুট হন।সেখানে তৈরী একবার তাঁর এক চিত্রকর্ম ১২০০ দিনার যা বাংলাদেশী অর্থমুল্য বর্তমানে প্রায় ৫০০,০০০/= পাঁচলক্ষ টাকা।
কুয়েতে স্বনামধন্য সাহিত্য সংগঠন বর্ণমালা সাংস্কৃতিক সংসদের তিনি ছিলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারন সম্পাদক। জাতীয় কবিতা পরিষদ কুয়েত’র তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, কুয়েতে বাংলা সাইনবোর্ড লেখা ও প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন প্রবক্তা স্বরুপ, এ কারনে সে দেশে তিনদিন জেল খাটতেও হয়েছে তাঁকে। সেখানে দুটি সাহিত্য পত্রিকা বিপ্লব ও কবিকণ্ঠ’র প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক এছারাও কুয়েতে মাসিক একুশে বাংলার ছিলেন সম্পাদক ও প্রকাশক। মাসিক মরুলেখা (বাংলা ট্যাবলয়েড) পত্রিকার তিনি ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক। এছাড়া নানাবিধ সমাজ-সেবা মুলক কাজে তিনি আত্মনিয়োগ করার অজস্র প্রমান রয়েছে। তিনি বৃহত্তর বরিশাল প্রবাসী কল্যান পরিষদ কুয়েতে নির্বাচিত সিনিয়র যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নিজ গ্রামে যুব শ্রেনী যখন মাদক, বাজে আড্ডা, ইভটিজিংয়ে ব্যস্ত ছিল তখন সে যুব শ্রেনীকে আলোকিত পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় সৃষ্টি করেন-
কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত সংসদ
কবি জীবনানন্দ দাশ সাংস্কৃতিক সংসদ
কবি জীবনানন্দ দাশ ক্রীড়া সংসদ
জীবন কুড়ি (শিশু কিশোর সংগঠন)
জীবনকণ্ঠ (সাহিত্য পত্রিকা)
এ ছাড়াও তাঁর প্রকাশিত ৩৪টি গ্রন্থ দেশ
বিদেশে চলছে।