1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পাইকগাছার রাড়ুলীর বেড়িবাঁধ দ্রুত সংস্কার, খাল খনন ও সুইচগেট নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান চট্টগ্রাম নগরীতে অনুষ্ঠিত হলো নবজাগরণের স্বাক্ষর কর্মশালা উলিপুরে জাঁকজমক পূর্ণ ভাবে খ্রীস্টধর্মালম্বীদের বড়দিন উৎসব পালন মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা রবিন খান পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি মনোনীত চকরিয়ায় ইটভাটা গুলো গিলে খাচ্ছে পাহাড় ও বন রহস্যজনক কারণে নিরব প্রশাসন পাইকগাছায় ৩১৪কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ও ৪২ কেজি কারেন্ট জাল জব্দ দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি -শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন গাজীপুরের কাশিমপুরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার কুড়িগ্রামের উলিপুরে মহান বিজয় দিবস পালিত

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০, ৬.৩৬ পিএম
  • ২৫৬ বার পঠিত
কলাপাড়া পটুয়াখালী প্রতিনিধি  :
পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। দায়িত্বগ্রহণের পর এলাকার জনজীবনকে নিরাপদ ও ঝুকিমুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এর বেশ কিছু সুফল ও ইতোমধ্যে ভোগ করছে এলাকাবাসী। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় এমনটিই এখন এলাকার উচ্চবিত্ত, নিম্নবিত্ত, ক্ষমতাসীন সবার ভাবনা।
তার সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান, পুলিশের চাকরি হলো ‘নিড বেইজড জব’ যখন প্রয়োজন হবে আপনাকে তখনই ছুটতে হবে। সময়ের সাথে সাথে কাজ। ২৪ ঘন্টা আপনাকে সার্ভিস দিতে হবে। পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে অনেকটাই ‘ফার্স্ট ইন, লাস্ট আউট’ নীতিতে চলেন তিনি। ফলে উপজেলার সবধরণের ঘটনাগুলোই নখদর্পনে থাকে।
‘যে কোনো মানুষ এসে সরাসরি সমস্যার কথা যেন জানাতে পারে এমন পরিবেশ করার চেষ্টা করেছি’, জানান তিনি। তিনি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মনে করেন, পুলিশ চাকুরিতে সংশ্লিষ্টদের কারো বাসায় দাওয়াত খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত, ব্যক্তিগত পছন্দ, অপছন্দকে দায়িত্বপালনে অগ্রাধিকার না দেওয়া দরকার, কারো ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেও যোগ না দেওয়ার বিষয়ে মত তার।
পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানা, পটুয়াখালী সদর, বাউফল ও কলাপাড়া থানায় দীর্ঘ সময়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগে মা, মাটি, মানুষের সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে তার। অভিজ্ঞতালদ্ধ জ্ঞান থেকে তার উপলদ্ধি, ‘আমার দেশের অধিকাংশ মানুষ নানান বিষয়ে মিথ্যা ঘটনা সাজাতে অনেক বেশি অভ্যস্ত। ৮০% মানুষ সত্য কথা বললে অপরাধ কমে যাবে।’
উঠতি বয়সী কিশোরদের নিয়ে তার ভাবনা হলো, ‘মোবাইল, ইন্টারনেটে বর্তমান কিশোররা অপরাধে জড়িয়ে পরে, অভিভবাবকদের এ বিষয়ে সচেতনতা দরকার। একটা বয়স না আসা পর্যন্ত তাদেরকে অ্যান্ড্রয়েড ফোন না দেওয়াই ভালো।’
তিনি মনে করেন, ‘শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিং এর আওতায় নিয়ে আসা দরকার। তাদের মাঝে সচেতনতা দরকার।’ নিজেও এ কাজে সম্পৃক্ত থাকতে আগ্রহী। করোনাকালে যদিও এটি করা কঠিন। তবুও তিনি এ বিষয়ের সাথে যুক্ত যে কোনো ফোরামে গিয়ে কথা বলতে আগ্রহী। তার উক্তি হলো ‘আমার একটা পরামর্শ যদি সমস্যার সমাধান হয় তাহলে সেটুকু করতে আমার আন্তরিকতার অভাব নাই’।
কর্মজীবনের ২৭বছরে অনেক চাঞ্চল্যকার ঘটনার নেপথ্যেদের খুঁজে বের করতে হয়েছে তাকে। কখনো খুলনায় চরমপন্থীদের সাথে দিনে দুপুরে বন্দুক যুদ্ধে অংশ নিতে হয়েছে। কখনো আলামতবিহীন ঘটনার গভীরে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে তারপরে অপরাধীকে সনাক্ত করতে হয়েছে। আছে হাজারো কাহিনীকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা। পটুয়াখালীর বাউফল থানায় দায়িত্ব পালন কালে ধানকাটা নিয়ে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। যার অন্তরালে ছিলো ‘লাঙ্গল যার ধান তার’  এই নীতি।
স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে এক গুলশানের চাঞ্চল্যকর এসিড মারার ক্লুলেস মামলার বিষয়টি জানান, ঘটনাটি ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর এর সময়ে। গুলশানের সেই চাঞ্চল্যকর মামলার, বাদী ও বিবাদী উভয়েই প্রভাবশালী। এসিড মারা ঘটনায় অজ্ঞাত আসামীকে অনুসন্ধান করে তার নেতৃত্বে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তির একমাত্র ছেলে, তার গাড়ীর ড্রাইভারসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেন। সেই মামলার এজাহারে উল্লেখ ছিলো ‘টেলি কম্যুনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার গুলশানে বকুল গাছের নিচে থাকা অবস্থায় অজ্ঞাতরা তাকে এসিড নিক্ষেপ করে। আলামত হিসেবে সেখানে মেহরীন নামের একটা মেয়ের মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায় কেবল। কললিস্ট চেক করে দেখা যায় ২০১০ এর জুন মাসে মেহরীনের সাথে সর্বশেষ কথা হয়। আরও দেখা যায় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তির গাড়ির ড্রাইভার এর নাম্বার ও আরেকটি বাংলালিংক নাম্বার ওই সময় ঘটনা স্থলে ছিলো। ‘সে নাম্বারে কল চেক করে বুঝলাম এটা কোনো মোবাইল মেকানিক এর নাম্বার, ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করে ৬ দিনের মাথায় অভিযুক্তকে ধরলাম। ১৬৪ ধারায় তারা আদালতে জবানবন্দী দেয়। ৩দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলো। তাতে বেরিয়ে আসল মেহরিন,  এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ও আক্রান্ত এরা ৩জন স্কলাস্কিটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ত। সেখানে মেয়ে সম্পর্কিত ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েই তাকে এসিড মারা হয় বলে ধারণা করি।’ মামলাটি এখনো আদালতে চলমান।
খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এর কৈশোর বেলাটাও নানা এডভেঞ্চার ঘটনায় পরিপূর্ণ। বাবা খন্দকার বজলুর রহমান, মা হেলেনা রহমান এর চার ছেলের মধ্যে সে দ্বিতীয়। শেরে বাংলা একেএম ফজলুল হক এর এলাকা বানরীপাড়ার চাখার এ জন্ম তার। বরিশাল সাগরদী পিটিএম স্কুলে ১ম-৪র্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে বাবা সরকারি চাকুরিজীবী হওয়ায় বাবার বদলীর সাথে সাথে গাজীপুরে বদলি। গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকার ছায়াবিথীতে ৫ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করেন। সরকারি রানীবিলাস মনি হাইস্কুলে ৭ম, ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। এরপরে কুমিল্লার শাসনগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া। কিন্তু বাবা ট্রেনিংয়ে গেলে নিজ জন্মস্থান চাখার শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হাইস্কুলে ৮২ সাল পর্যন্ত পড়েন। এসএসসিও করেন ওখানে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে। এইচএসসি কুমিল্লা সরকারি কলেজে ভর্তি হলেও ১বছর পরে বাবার বারবার বদলী হওয়ার কারণে ফিরে আসেন চাখার। চাখার শেরেবাংলা সরকারি ফজলুল হক কলেজে ৮৪ সালে এইচএসসি সমাপ্ত করেন। স্নাতক করেছেন বিএম কলেজে একান্টিং নিয়ে। মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ৮৮ সালে। আত্নীয়দের মধ্যে অধিকাংশই ছিলো শিক্ষকতা পেশায়। তাই স্নাতকোত্তর শেষে নিজেও কিছুদিন যুক্ত থাকেন শিক্ষক পেশায়। নিজ বংশে কোনো পুলিশ না থাকায় দাদার পরামর্শ ছিলো কেউ যেন পুলিশে যায়। সে পরামর্শ মেনেই ১৯৯১ সালে পুলিশে ইন্টারভিউ দেওয়া। কিন্তু তৎকালীন বিএনপি সরকার ২৮৭ জনের এর নিয়োগ বোর্ডটি বাতিল ঘোষণা করেন। এরপরে ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার সরকার আবার নিয়োগ বোর্ডটিকে অনুমোদন দিলে ১৯৯৭ সালে পুলিশে যোগদান করেন ১৮০ জনের মতো।
জীবন মানেই সামনে চলো এই নীতিকে মেনে এগিয়ে চলছেন। মাদক, চাঁদাবাজসহ যেকোনো অপরাধ ও অপরাধীর বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আহ্বান তার। অপরাধীর তথ্যদাতার পরিচয়ও গোপন রাখবেন তিনি এমনটিই জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews