রানা,পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাশপাড়া ইউপির দাশপাড়া গ্রামে স্বামীর চোখ উপড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব হোসেনের মেয়ে রাক্ষুসী ডাইনী পাষন্ড স্ত্রী নুপুর বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক হাবিবের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, স্বামী মিরাজ হোসেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অধিদপ্তরের অফিস সহায়ক হিসাবে চাকরী করেন। তার এক মাত্র অসুস্থ্য শিশু সন্তান আলিফ (৭) কে দেখার জন্য লকডাউনে বাড়িতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে স্ত্রী নুপুর বেগমকে মুঠোফোনে তার পুত্রকে নিয়ে বাড়ীতে আসার জন্য বললে স্ত্রী নূপুর বেগম জানায়, তার ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে ৫লক্ষ টাকা দিলে তবেই সে স্বামীর বাড়িতে যাবে। স্ত্রী না আসায় ওইদিন ইফতার শেষে রাত আটটার দিকে শ্বশুর বাড়ী পৌছান স্বামী মিরাজ স্ত্রীকে আনার জন্য। স্বামী মিরাজ শ্বশুরের ঘরে ঢুকেই পরকীয়া প্রেমিক হাবিব হোসেনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন স্ত্রীকে। মুহুর্তের মধ্যে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘরের ভিতর মিরাজকে আটকিয়ে ফেলে মারধর করে চুল ধরে টেনে মাটিতে ফেলে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা চালায় স্ত্রী নুপুর ও তার পরকীয়া প্রেমিক হাবিব। এতে যোগ দেন শ্বাশুরী রেহেনা বেগমও।
এসময় মিরাজের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, ডান চোখের অবস্থা আশংকাজনক,উন্নত চিকিৎস্যার জন্য বরিশাল আই হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে ওই ডাইনী স্ত্রী নুপুরের বাবা সোহরাব হোসেন বলেন, তার জামাই মেয়ের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিন্তু এরকম দুর্ঘটনা ঘটবে তা তিনি আসা করেননি। ডাইনী স্ত্রী নুপুর বেগমের বক্তব্য নেয়ার জন্য চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, আহত মিরাজের বোন বাদী হয়ে অভিযোগ দিয়েছে, অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..