অনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার সুনির্দিষ্টভাবে না কমার আগে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার বিপক্ষে মত দিয়েছে সরকারের জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।
আজ শুক্রবার কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও সদস্য সচিব মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত ষষ্ঠ সভার সুপারিশপত্রে এ কথা জানানো হয়।
জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সুপারিশের সার সংক্ষেপে বলা হয়, কোভিড-১৯ একটি সংক্রামক রোগ, যা হাঁচি-কাশি ও সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। জনসমাগম এ রোগের বিস্তারের জন্য সহায়ক। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতায় এই রোগ সংক্রমণের হার সুনির্দিষ্টভাবে না কমার আগে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চালু করলে রোগের হার বাড়ার আশঙ্কা থাকে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ বিষয়ে ইতোপূর্বে পরামর্শ প্রদান করেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিবিধানসমূহ সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ না করে শিথিল করা হলে রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
আরও বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ রোগে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন নামক ওষুধটি সম্বন্ধে নির্দেশনা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ইউরোপিয় ইউনিয়নে এ ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি করোনা রোগের চিকিৎসার গাইডলাইনে এ ওষুধ না রাখার পরামর্শ দিয়েছে। আইভারমেকটিন, কনভালোসেন্ট প্লাজমা ও অন্যান্য অননুমোদিত ওষুধ কেবলমাত্র সুনির্দিষ্টভাবে অনুমোদিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের বাইরে ব্যবহার না করার সুপারিশ করেছে। এই ধারাবাহিকতায় এসব ওষুধ বা চিকিৎসা ব্যবস্থা অথবা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষ জন্য ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছে।
সুপারিশপত্রে বলা হয়, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা একই হাসপাতালে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি এ সিদ্ধান্ত সঠিক মনে করে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনিক সাংগঠনিক জনবল ও সরঞ্জামসমূহের বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে মনে করে।