তৌফিকা খাতুন টফি মীর নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
‘রেপ কিং’ কিংবা ‘ধর্ষণের রাজা’—বড়পর্দায় অভিনয় করে এমন উপাধিই পেয়েছেন রঞ্জিত। পর্দায় কামুকতা থেকে ধর্ষণকে তার মতো এতটা বিশ্বাসযোগ্য অন্য কোনো অভিনেতা করতে পেরেছেন খুবই কম। তাইতো পর্দায় মোট ৩৫০ বার ‘ধর্ষণ’ করেছেন তিনি।
এতটাই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে তার সেসব ‘ধর্ষণের’ সিকোয়েন্স যে ধীরে ধীরে তাতে রঞ্জিতের অভিনয় ছবির ইউএসপি হয়ে দাঁড়ায়! তবে তা সত্বেও ছবিতে নায়িকারা অত্যন্ত নিরাপদ এবং নিশ্চিন্ত বোধ করতেন তার সঙ্গে ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে।
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রঞ্জিত জানিয়েছেন, কীভাবে বলিপাড়ায় ‘ধর্ষক’ উপাধি কুড়িয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে এও জানালেন কেন তার ক্যারিয়ার ধীরে ধীরে অস্তাচলে চলে গিয়েছিল। বর্ষীয়ান এই অভিনেতার কথায়, আমাদের সেই সময়ে ছবির গল্প, চিত্রনাট্য শুনিয়ে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়ার চল ছিল না। বড় বড় তারকাদের হয়ত পরিচালক-প্রযোজকরা এক আধ লাইনে বলে শেষ করতেন ছবির গল্প। আমি মনে করতাম যখন আমার কাছে পরিচালক ছবির প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমার অভিনয় করার মতো জায়গা রয়েছে। তাই একদিনের জন্যও ছবির গল্প কিংবা চিত্রনাট্য নিয়ে মাথা ঘামাইনি।
তিনি বলেন, আমার ভিলেন সাজতেও কোনো আপত্তি ছিল না। যদিও পর্দায় ভিলেন সাজার কিছু ‘মূল্য’ তো চুকাতেই হয়েছিল। পরিবারের সঙ্গে মন কষাকষির মতো ইত্যাদি ব্যাপারে মুখোমুখি হতে হয়েছিল হরদম। এভাবেই চলতে চলতে একদিন দেখলাম বলিপাড়ার ওই তকমাটা জুড়ে গেছে আমার নামের পাশে।
তবে ‘ধর্ষণের’ শুটিং করার সময় অভিনেত্রীদের তিনি অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করাতেন। এমনও হয়েছে যে কোনো সিনেমায় ছবিতে ‘ধর্ষণের’ দৃশ্য রয়েছে অথচ রঞ্জিত নেই, কিন্তু নায়িকারা এসে পরিচালকের কাছে আবদার করতেন যেন রঞ্জিতকে নেওয়া হয় ওই ছবিতে!
ভরা ক্যারিয়ারে কেন ভাঁটা এল? অভিনেতার কথায়, এর প্রধান কারণ ফ্যাশনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। মেয়েরা এতো ছোট ছোট, খোলামেলা পোশাক পরতে অভ্যস্ত হয়ে গেল যে নতুন করে পর্দায় আর আমার খোলার কিছুই রইল না।