1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
পাকিস্তান থেকে ভারত হয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসছে মাছের রেনু
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫০ অপরাহ্ন

পাকিস্তান থেকে ভারত হয়ে অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসছে মাছের রেনু

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ১১.৫১ পিএম
  • ১৮৩ বার পঠিত

 

দ্বীন ইসলাম

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা থানার কাইমপুর ইউনিয়নের চোখ বস্তা গ্রাম এক ব্যক্তি সাংবাদিককে কল করে জানান পাকিস্তান থেকে আসা ইন্ডিয়ান অবৈধ চিংড়ি মাছের রেনু বাংলাদেশে প্রবেশ করতেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কসবা থানার কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে হচ্ছে এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড।

পুলিশ জড়িত রয়েছেন সেই কথাটি জানার পর সাংবাদিক টিম পুলিশকে অবগত না করেই সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান শুরু করে।

 

অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো থলের বিড়াল, জানা গেলো এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন কসবা থানা সহ কুমিল্লার মুরাদনগর থানার কিছু পুলিশ কর্মকর্তা।

 

ব্ল্যাকার দের সিন্ডিকেট বিশাল শক্তিশালী হওয়ায় কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কে রেনুর গাড়িটি ধরতে ব্যার্থ হলে, সাংবাদিক টিম এই চোরাকারবারীর সূত্র বের করার উদ্দেশ্যে গাড়িটির পিছু নেন।

 

কিছুদূর যাওয়ার পর রীতিমতো অবাক করে দিয়ে কুমিল্লা মুরাদনগর থানার ডিউটিরত পুলিশের একটি টিম গাড়িটিকে রাজকীয় প্রটোকল দিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।

 

পাকিস্তানি রেনুর গাড়িটির পিছনে সাংবাদিকের টিম রয়েছে তা নিশ্চিত করতে পেরে পুলিশ টিম সাংবাদিকদের গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করে।

যাতে করে অবৈধ মাছের রেনু গুলো হরহামেশাই তাদের এরিয়া অতিক্রম করতে পারে।

 

সাংবাদিক টিমের পিছু নিয়ে পুলিশের গাড়িটি কুমিল্লার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ বাজার অতিক্রম করে, যেটা মূলত দাউদকান্দি থানার আধিনে।

 

সাংবাদিক টিম অবৈধ মাছের রেনুর গাড়িটি ধরতে সক্ষম হলে মুরাদনগর পুলিশের সহায়তায় গাড়িটি তল্লাশি করার সহযোগীতা চায়, ফলস্বরূপ পুলিশ তল্লাশি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দেন এবং গাড়িটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

 

পরবর্তীতে সাংবাদিক টিম কুমিল্লা দাউদকান্দি থানায় অবগত করতে চাইলে মুরাদনগর পুলিশের টিম রেনুর গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার শর্তে সাংবাদিকদের মোটা অংকের একটি চাঁদা অফার করে।

 

সাংবাদিক টিম ক্ষিপ্ত হয়ে মুরাদনগর থানার তদন্ত অফিসারকে ফোনকলে বিষয়টি অবগত করলে গাড়িটি তার অফিসারকে আটকের নির্দেশ দেন যা পরবর্তীতে আইওয়াসে পরিনত হয়।

 

মুরাদনগর থানার পুলিশ গাড়ির ড্রাইভারকে একাধিকবার শিখিয়ে দেওয়ার পরও ডাইবার সঠিকভাবে বলতে পারে নাই যে ত্রিপল নাইনে কল করে পুলিশ আনা হইছে সাংবাদিকের কাছে যখন ফেঁসে যায় গিয়েছিল তখন ড্রাইভারকে পুলিশ শিখিয়ে দিয়েছে ট্রিপল নাইনে কল করে তাদেরকে জানানো হয়েছিল

বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মাফিয়া ও হার মানে

 

পাকিস্তান থেকে ভারত হয়ে অবৈধ পথে আসা রেনুর গাড়িটি মুরাদনগর থানার পুলিশের কারসাজিতে আটকের অভিনয় করে থানার কাছে নিয়ে নিরাপত্তার সাথে গাড়িটি ছেড়ে দেয় তারা।

 

অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের এমন সম্পৃক্ততা সাধারণ জনমনে কতোটুকু বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা জন্মাবে তা বলা বাহুল্য হয়ে দাড়িয়েছে বর্তমানে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews