মেহেদী ইমামঃ রাঙামাটি প্রতিনিধিঃ
`পাহাড়ের সংশপ্তক একেএম মকসুদ আহমেদ’ নামক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পার্বত্যাঞ্চলে সাংবাদিকতার পতিকৃৎ মকসুদ আহমেদ রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে রাঙামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আলহাজ্ব একেএম মকসুদ আহমেদ এর জীবনী ‘পাহাড়ের সংশপ্তক’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ২৯৯আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি দিপংকর তালুকদার (এমপি)।
প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রুবেল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকের সঞ্চালনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ, আলহাজ্ব একেএম মকসুদ আহমদসহ ক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত শতাধিক সংবাদকর্মী।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিপংকর তালুকদার বলেন, গত ৪৩বছর পাহাড়ের বিভিন্ন পত্রিকা দেখে আসছি। অনেক পত্রিকা বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। কিন্তু হাটিহাটি পা পা করে মকসুদ আহমেদের দৈনিক গিরিদর্পণ প্রতিদিনই প্রকাশিত হয়েছে। যা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি মকসুদ আহমেদের লেখায় ফুটে উঠেছে।
বক্তব্যে উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে মকসুদ চাচাকে দেখে আসছি। কাউখালীর কলমপতি শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে আজাদি পত্রিকার মাধ্যমে তিনি পাহাড় ও বঙ্গবন্ধুর কথা লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন। পরবর্তি সময়ে তিনি দৈনিক গিরিদর্পণ এর মাধ্যমেও অনেক উন্নয়নমূলক লেখা লিখেছেন। যা এই সমাজে ব্যাপক ফলপ্রসূ সুবিধা দিয়েছে।
বক্তারা এসময় এই চারণ সাংবাদিক কে প্রকৃত মূল্যায়ন করতে একুশে পদক প্রদানে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান।