নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার পূর্বধলায় মানিকদির মসজিদে নামাজ রত অবস্থায় মসজিদের দরজা বাহির দিয়ে আটকিয়ে ১১নং গোহালাকান্দা ইউপি নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের উঠান বৈঠকে নৌকার প্রার্থীর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত প্রায় ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। উপস্থিত জনতার সাথে জানতে চাইলে তারা বালন.. আমরা অনেকেই মসজিদে ফরজ নামাজ শেষে সুন্নত পরতেছি এমন সময় মসজিদের দরজা বাহির থেকে কেউ বন্ধ করে দেয়। আমাদের প্রতিবেশী মফিজ উদ্দিন (৪৮) কে পিটিয়ে আহত করে এবং নৌকা নৌকা শ্লোগানে শ্লোগানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চেয়ার গুলো টুকরো টুকরো করে। চিৎকার দিয়ে বলতে থাকে নৌকা বাদে কোন মার্কা নাই যে নৌকার ব্যতীত স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে তাকে গাছে ঝুলিয়ে পিঠাব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন.. আমি মোঃ আনোয়ার হোসেন, নেত্রকোণা জেলাধীন পূর্বধলা উপজেলার ১১নং গোহালাকান্দা ইউনিয়নের নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। অত্র ইউনিয়নের মানিকদির গ্রামে আমার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে রাত ৮টায় মানিকদির মসজিদ মাঠে এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে ছিলাম। বৈঠকের আগে উক্ত মসজিদে অন্যান্য মুসুল্লীদের সাথে নামাজ রত অবস্থায় আমার ইউনিয়নের নৌকার মনোনীত প্রার্থী শেখ সালাউদ্দিন চান সহ তার লোকজন মসজিদের দরজা বাহির থেকে আটকিয়ে দিয়ে আটকিয়ে দিয়ে আমার আয়োজিত বৈঠকের প্রায় ১০০ চেয়ার রামদা দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে ফেলে এবং আমার লোকজনের সঙ্গে অশুভ আচরণ করতে থাকে, যাওয়ার পথে আমার কর্মীদের বহনকৃত ২টি সিএনজি ভাংচুর করে উক্ত স্থান থেকে চলে যায়। ডি.এস.বি. এবং পূর্বধলা থানা পুলিশ সশরীরে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তার সত্যতা প্রমাণ পেয়েছেন। আমি এবং আমার কর্মীদের নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণ যোগ্য একটি নির্বাচন করার স্বার্থে বিষয়টি সুবিবেচনায় নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয় অনুরোধ রইল।
শ্যামগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস. আই হাফিজ বলেন… আমরা ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সত্যতা প্রমাণ পেয়েছি তবে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।