নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পেকুয়ার সেই আলোচিত উজানটিয়া বনবিটের এফজি দীপেন কুমারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি স্থানীয় উজানটিয়ার বাসিন্দা সালাউদ্দিন, জয়নাল হাজী ও মোঃ আইয়ুব নামীয় কতিপয় ব্যবসায়ী ব্যক্তি উপকূলীয় বন বিভাগের ডিএফও বরাবরে বিবিধ দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে প্রকাশ, এফজি দীপেন কুমার টাকার বিনিময়ে বন বিভাগের জায়গায় মাছের ঘের, চিংড়ির ঘের, লবন উত্তোলনের মাঠ করিয়ে দেয়া এবং লম্বাঘোনা,বরঘোনা,কাজীর ঘোনা,চৌধুরী ঘোনা,আনোয়ার ঘোনা,শাহাজান ঘোনা, শাহাবুদ্দিন ঘোনা সহ ১০/১২ টি ঘোনার মাছের ঘের, লবনের ঘের থেকে বাৎসরিক ত্রিশ হাজার টাকা করে দুই বার নেন এবং সেই টাকা ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের মাধ্যমে ভাগ বাটোয়ারা হয়। এছাড়াও উজানটিয়া এলাকায় ১৯৯৩-৯৪ সালে সৃজিত বাগানে দৈনিক ১৫/২০ টি মাছ ধরার ট্রলার ও বিভিন্ন প্রকারের নৌকা স্থানীয় ভাষায় (বডি) বাগানের গাছের সাথে বেঁধে রাখার অনুমতি দেয় অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে এসব প্রতিটি বডি থেকে ৭০০ টাকা করে নেয়া হয়।
ট্রলার বেঁধে রাখার ফলে মাটির ক্ষয় ও গাছের গোড়া নষ্ট হয়ে গিয়ে বিপুল সংখ্যক গাছ মারা যায় এতে করে পরিবেশ ধ্বংস ও অক্সিজেন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, দীপেন কুমার,ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুর রহমানের যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে বন বিভাগের জমি দখল করে অবৈধ চিংড়ি ঘের তৈরী,প্যারাবন উজাড় করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট, বোট পার্কিংয়ের মাধ্যমে মালামাল উঠানামা করিয়ে চাঁদা নেওয়া,মগনামা রাবারড্যাম ঘাট হতে জনৈক কাঠ ব্যবসায়ী রহমত,কালো মাঝি,সভাপতি ফরিদের সহায়তায় নিষিদ্ধ গর্জন, চিরাই কাঠ, লম্বা তত্তা, গোল কাঠ কুতুবদিয়া ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এসব কাজ বৈধ করতে জনৈক মাহামুদের মাধ্যমে মাসিক ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা নেয়া হয় হয় বলে বিভিন্ন স্থানীয় জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এব্যাপারে উপকূলীয় বনবিভাগের ডিএফও’র সাথে মুঠোফোনে কথা হয়, তিনি বলেন, এফজি দীপেন কুমারের বিষয়ে কক্সবাজারের এসিএফ কে দ্বায়িত্ব দেয়া হয়েছে,তিনি ঘটনার তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেবেন।
অপরদিকে, ছনুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান,তিনি সংশ্লিষ্ট বিটে দুই বছর ধরে রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন, যোগদানের পর থেকে কোন অবৈধ দখলবাজ, বালু খেকো, বনবিভাগের সম্পদ বিনষ্টকারীর সাথে কোন কিছুর বিনিময়ে আপোষ সমঝোতা করেন নি, স্থানীয় বালুখেকো বনখেকো,রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টকারী অনেকের বিরুদ্ধে তিনি বন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এক টাকা কারও কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিছি এমন তথ্য দিতে পারলে চাকুরী থেকে সেচ্ছায় ইস্তফা দেবেন।