কুড়িগ্রামে ঈদ আনন্দ নেই বানভাসীদের মাঝে। কোরবানির ঈদের আনন্দ মলিন হয়ে গেছে জেলার প্রায় চার শতাধিক চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষের। বিশেষ করে হতদরিদ্র পরিবারগুলো ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা-কাপড়তো দূরের কথা এক টুকরো মাংস মুখে তুলে দেয়ার কথাও ভাবতে পারছে না তারা।
নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে বন্যা দুর্গত প্রায় চার লক্ষাধিক মানুষের। করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি বন্যায় কর্মহীন হয়ে পড়া এসব মানুষেরা খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করছে। যারা ঘর-বাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছে তারাও ঘরে ফিরতে পারছে না। নদী ভাঙন ও বন্যায় ভেসে গেছে দুই হাজারেরও বেশি পরিবারের ঘর-বাড়ি। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও গোবাদি পশুর খাদ্য চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৩০ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় চিলমারী, উলিপুর সহ বিভিন্ন চরাঞ্চলেের বানভাসীদের সাথে। বানভাসী শেফালী বেগমসহ আরো অনেকে জানায়, পেটে ভাতই দিবার পাইতাছি না, নয়া কাপড় কিনে দেমো ক্যামনে?হামার আবার ঈদ! ছাওয়াপোয়া কান্দাকাডি করছে, ঈদ আইলো, ছাওয়াপোয়ার বায়না ধরছে নয়া কাপড় কিনি চায়। কিন্তু পেটে ভাত দিতে পাইতেছি না, নয়া কাপড় পামো কডে।হামার কপালে ঈদের আনন্দ নাই!চোখের পানি ফেলে এভাবেই কষ্টের কথাগুলো বলছিলেন বানভাসীরা।
ঈদ আনন্দের বদলে জীবন বাঁচাতে ত্রাণের সন্ধানে ছোটাছুটি আর মাথাগোঁজার ঠাঁই করে নিতে অসহায় জীবন-যাপন করছেন বন্যা দুর্গতরা।অন্য সময় ঈদের আগে ঘরের বাজার-সদাই আর পরিবারের নতুন কাপড় কেনার জন্য ব্যস্ত সময় কাটাতেন।কিন্তু অনেকেই এখন সংসারে দু’বেলা ভাত যোগাতেই হিমশিম খাচ্ছেন।