রেখা মনি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদন আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।
এরআগে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় খালেদা জিয়ার আবেদন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদনে মত দিয়ে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পা
ঠানো হয়েছে। তবে আবেদনে কী মত দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।
আনিসুল হক বলেন, আগেরবারের মতো এবারের চিঠিতেও খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর কথা বলে তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে যাবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
গত বছর থেকে শুরু হওয়া মহামারি করোনার মধ্যে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তির জোর দাবি তোলেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়। পরে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ দুই বছর পর শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। গত বছর ২৫ মার্চ তিনি মুক্তি পান।
প্রথম দফা মুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে এলে গত বছরের ২৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। আবেদন বিবেচনা করে সরকার দ্বিতীয় দফায় ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে। যা ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত।