রোস্তম আলী: রংপুর
প্রেসক্লাব রংপুর ৩১ মার্চ ২০২১ বিকেল ৩:৩০টায় প্রাণ নাশের ভয়ে চিলমারী থেকে পালিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলন করেন কুড়িগ্রাম জেলা চিলমারী উপজেলার ৫নং চিলমারী ইউনিয়নের কৃষক লীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম (কাজী)।
ভাষ্যমতে সম্প্রতি চিলমারী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ৫নং চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গয়ছল হক মন্ডলের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা পরিকল্পিতভাবে আমিনুল ইসলাম
(কাজীর) উপর হামলা করে এবং আমিনুল ইসলাম কাজীর উপর হামলাকারীরাই মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
জানা গেছে, পূর্বে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি গয়ছল হক মন্ডল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলে কৃষক লীগ আহ্বায়ক
আমিনুল ইসলাম জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে ওই সময় স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে উক্ত ইউনিয়নের আজোবধি আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ার ফলে কারণে অকারণে
সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, মামলা, ভয়ভীতিসহ হয়রানি চলমান আছে। ২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিয়ে আমিনুল কাজ শুরু করলে গত রোববার ২৮ মার্চ ২০২১ আমিনুলের সমর্থক নুরুজ্জামান প্রচারণা শেষে রমনা
ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারে গেলে গয়ছলের কর্মী রফিক, তার পুত্র সোহাগ ও সৌরভ, গয়ছলের ছোট ভাই রাজ্জাক, রফিকুলকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় গয়ছলের সমর্থক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান
মনির নেতৃত্বে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মধ্য রাতে কড়াই বরিশাল বাজারে সার্ভার রুম কার্যালয় ভাংচুর করে। এ সময় আমিনুলের সমর্থক বাবলু ও সুরুজ্জামান তাদের বাধা দিলে তারা হামলার শিকার হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় কুড়িগ্রাম
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে গয়ছল পরিকল্পিতভাবে থানায় গিয়ে আমিনুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ২৯
মার্চ ২০২১ তারিখসহ একাধিকবার আমিনুল থানায় মামলা করতে গেলে চিলমারী থানা তার মামলা গ্রহণ করেনি। ফলে গয়ছল ও তার নেতাকর্মীরা আমিনুল এর উপর প্রাণ নাশের হুমকীসহ নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাই তিনি মিথ্যা মামলা
প্রত্যাহার চেয়ে প্রেসক্লাব রংপুর-এ এসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মামলাকারী ও পুলিশ প্রশাসনের নিকট মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।