রেখা মনি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রেমিকার সরলতার সুযোগে ‘লিভ টুগেদার’, অন্তঃসত্ত্বা হতেই হিংস্র রূপে স্বামী
বিপ্লব হোসেন। কর্মরত রয়েছেন যবিপ্রবির সেকশন অফিসার হিসেবে। তার সঙ্গে পরিচয় হয় সুরাইয়া ইয়াসমিনের। জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। এরপর প্রেমিকার সরলতার সুযোগে ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবনযাপন করতে থাকেন। যদিও বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ে করেন বিপ্লব। বিয়ের পরই যৌতুকের জন্য শুরু হয় নির্যাতন। তবে সুরাইয়া অন্তঃসত্ত্বা হতেই হিংস্র রূপ নেন স্বামী। ওষুধ খাইয়ে হত্যা করেন ভ্রুণ।
যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ এনে স্বামী বিপ্লবসহ ছয়জনের নামে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন সুমাইয়া ইয়াসমিন। রোববার এ মামলা করেন তিনি।
মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম। অভিযুক্ত বিপ্লব যশোর সদরের হালসা গ্রামের আবু মুছার ছেলে।
বিপ্লব ছাড়াও অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- বিপ্লবের বাবা আবু মুছা, মা নুরনাহার বেগম, বোন নওশিন শারমিলি বিভা, শহরের পুলিশ লাইন পাওয়ার হাউজপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে ফারুক হাসান হাওলাদার এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসেসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, যবিপ্রবির সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বিপ্লব হোসেন। তার সঙ্গে সুরাইয়া ইয়াসমিনের পরিচয় হওয়ার পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর প্রেমিকার সরলতার সুযোগে ভুয়া কাবিননামা বানিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবনযাপন করতে থাকেন। বিষয়টি জানাজানি হলে চাকরি বাঁচানোর জন্য ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিয়ে করেন বিপ্লব।
বিয়ের পর ইয়াসমিনের পরিবারের পক্ষ থেকে সংসারের যাবতীয় মালামাল ও দেড় লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপরও নানা অজুহাতে ইয়াসমিনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন বিপ্লব। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ইয়াসমিন। বিষয়টি বিপ্লব মেনে নিতে না পেরে কৌশলে ওষুধ খাইয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন। সর্বশেষ বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।