ফসলি জমির মধ্যে দিয়ে রাস্তা করতে বাধা দেওয়ায় কারণে সংখ্যালঘু হিন্দু, ক্ষুদ্র,নৃ-গোষ্ঠীর গোবিন্দ চন্দ্র সরকার (৬৭) নামের এক কৃষক ও তার ছেলেকে ব্যাপক মারপিট করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায গতকাল মঙ্গলবার রাতে তালম ইউনিয়ন কুন্দাশন গ্রামের প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম জুয়েল ও আব্দুল আজিজের নামে ভুক্তোভোগী কৃষক গোবিন্দ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাড়াশ থানার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রফিকুল ইসলাম জুয়েল ও আব্দুল আজিজ দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের গোবিন্দ চন্দ্র সরকারের নিজ নামের জমির বোরো ধান নষ্ট করে দেওড়া গ্রাম থেকে তাদের কুন্দাশন গ্রামে যাতায়াতের জন্য জমির মধ্যে মাটি ফেলে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করেন। কিন্তু কৃষক গোবিন্দ চন্দ্র সরকার ও তার ছেলে সনাতন চন্দ্র সরকার তাদের জমির ফসল নষ্ট করে তার মাঝ দিয়ে রাস্তা নিতে বাধা দিলে ওই দুই প্রভাবশালী ও তাদের লোকজন মিলে কৃষক পিতা পুত্রকে বেধড়ক মারপিট করেন।
এক পর্যায়ে তারা কৃষক পিতা ও পুত্রকে টেনে হেঁচড়ে দেওড়া গ্রামের ফসলি মাঠ থেকে কুন্দাশন গ্রামে নিয়ে গিয়ে সেখানে কয়েক ঘণ্টা একটি পরিত্যক্ত ঘরে আটকে রাখে। পরে ওই রাতে মামলা না করার জন্য তাদেরকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেন। এর পরই ছাড়া পেয়ে ভুক্তোভোগী কৃষক বাদী হয়ে তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
তবে অভিযুক্ত প্রভাবশালী রফিকুল ইসলাম জুয়েল ও আব্দুল আজিজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্মাণকৃত রাস্তা ভেঙে দিয়েছেন কৃষক গোবিন্দ চন্দ্র সরকার ও তার ছেলে সনাতন সরকার। এ জন্য তাদেরকে দু একটি কথা বলা হযেছিল এই যা।এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ওসি মো. ফজলে আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার তদন্তু করে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।