মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: নাব্য সঙ্কটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে ছয়টি ফেরি দিয়ে ফেরি পারাপার শুরু হয় বলে বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম জানান।
নাব্য সঙ্কটের কারণে ১২ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে তৈরি হয় কয়েকশ যানবাহনের জটলা। বুধবার সকাল ৬টায় ছয়টি ফেরি চালু হলেও আটকে রয়েছে বেশকিছু যানবাহন।সরেজমিনে দেখা গেছে, এই নৌপথে যানবাহন পারাপারে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগায় এবং ফেরির স্বল্পতায় শিমুলিয়া ঘাটে কয়েক’শ যানবাহনের জট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা হাজারো মানুষ।
এদিকে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ার কারণে শিমুলিয়া ঘাটে লঞ্চ ও স্পিডবোটে ভিড় বেড়েছে। ফলে গাদাগাদি করে পদ্মা পার হতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না কেউই।
সফিকুল বলেন, “ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় শিমুলিয়া ঘাটে শত শত যান পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তাছাড়া ফেরিতে যাত্রী চাপ বেশি থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না।ফলে বহু ট্রাক ৪/৫ দিন ধরে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে পড়ে আছে।
“লৌহজং টার্নিং পয়েন্টে নয়টি ড্রেজার দিয়ে চলছে পলি অপসারণের কাজ। বিআইডব্লিউটিএ যত দ্রুত আমাদের চ্যানেল তৈরি করে দিতে পারবে আমরা তত তাড়াতাড়ি ফেরি সার্ভিস সচল করতে পারব।”
বর্তমানে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ১৭ ফেরির মধ্যে ৬টি চলতে পারছে। আর ৮৭ লঞ্চ ও চারশ’র বেশি স্পিডবোট চলাচল করছে বলে বিআইডব্লিউটিসির এ কর্মকর্তা জানান।