শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
সকল প্রকার ছোটাছুটি, প্রচার প্রচারনা,পথসভা, মিছিল মিটিং সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন তৃতীয় ধাপে আজ ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে । মেয়র পদে ৪ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে একজন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী হওয়ার, ৮ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন সহ মোট ৪৭ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছে।
এরমধ্য মেয়র পদে ৪ জন তারা হলেন, ক্ষমতাসীন দল থেকে বর্তমান মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক (নৌকা মার্কা), বিএনপি থেকে মতিউর রহমান মতিন (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল গাফফার (নারিকেল গাছ), এবং জাগপা থেকে সিরাজুল ইসলাম (হুক্কা মার্কা)নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছে।
আজ সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। এবার পৌরসভা নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে ১১টি ভোট কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ৮৭৭ জন এবং মহিলা ভোটার ৯ হাজার ১২৫ জন।
এ ব্যাপারে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিক বলেন, পুরো পৌর এলাকায় নৌকা প্রতীকের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা ইতিপূর্বে কোন নির্বাচনেই লক্ষ্য করা যায়নি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ভোটাররা নৌকা প্রতীকে ভোট প্রয়োগ করবেন। আমি নির্বাচিত হলে পৌর এলাকায় একটি ডায়বেটিক্স হাসপাতাল, স্টেডিয়াম, আধুনিক মানের শিশু পার্ক, যাত্রী ছাউনী ও স্কুল নির্মাণ সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করবো।
এ দিকে বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ মার্কার মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান মতিন বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে পৌর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করবো। তবে আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল গাফফার বলেন, আমি একজন জনগণের প্রার্থী, জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী, পৌরবাসী বিনা দ্বিধায় আমাকে ভোট দিবে।
জাগপা মনোনীত প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন আমি নির্বাচিত হলে পৌরবাসীকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা অক্ষরে অক্ষরে পূরণ করবো। জনগণ আমাকে ভোট দিবে এবং জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবীর বলেন, নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ নির্বাচনে ৯ জন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি ২ প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ সদস্য, র্যাব সদস্য সহ আনসার বাহিনী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। উৎসবর মুখোর পরিবেশে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের পৌর পিতা নির্বাচিত করবেন।