শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের স্যানপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত কফিল উদ্দিন ওই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। সাংসারিক প্রয়োজনীয় কাজে বাঁশবাগানে যান কৃষক কফিল উদ্দিন। এসময় বাগানের একটি বাঁশ স্পর্শ করতেই আচমকা বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান তিনি।
হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পাশেই বাঁশবাগান। আর সেই বাগানে সাংসারিক কাজের জন্য বাঁশ কাটতে যান কৃষক কফিল উদ্দিন। কিন্তু বাঁশে স্পর্শ করতে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মামুন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই কফিল উদ্দিন মারা যান। সম্ভবত বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতার কারণেই কৃষক কফিল উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। তাঁদের অভিযোগ, কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বাসা-বাড়ি ও বাঁশবাগানের ওপর দিয়ে এগারো হাজার কে.বি ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন টানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। এমনকি এসব বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে খোলা তার ব্যবহার করা হয়েছে। ঝুঁকিপুর্ণ এসব লাইনেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বিষয়টি তাদের একাধিকবার জানানো হলেও কোনো কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এই ধরণের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আঞ্চলিক উপ-মহাব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তাদের কোনো দায়িত্ব অবহেলা নেই। কারণ এসব সমস্যার বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ তার দপ্তরে আসেনি বলেও দাবি করেন। এরপর ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন পল্লী বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) সাচ্চু বিশ্বাস বলেন, ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..