রফিক তালুকদার, চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সফল ভাবে দুইটি টিউব স্থাপনের কাজ শেষে গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ। একই সাথে চলছে ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় লেনের ১১ কিলোমিটারের সংযোগ সড়কের কাজও।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে টানেল খুলে দেয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই টানেলের সব কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন টানেল কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, টানেলের দুই প্রান্তে মোট ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার এ্যাপ্রোচ সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে আনোয়ারা রয়েছে চার কিলোমিটার।ফ্লাইওভার রয়েছে ৭০০ মিটার। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার পর এখন এ্যাপ্রোচ সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। চার লেনের ২২.৪০ মিটার প্রস্থ এই এ্যাপ্রোচ সড়কের দুই তিন স্তরের মেকাডমের কাজ শেষে করা হবে মূল বিটুমিনের কার্পেটিংয়ের কাজ।
সরেজমিনে টানেল এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে ৪কিলোমিটার এ্যাপ্রোচ সড়কে রাত-দিন চলছে কার্পেটিংয়ের কাজ। সড়কে ৩টি স্থানে আন্ডারপাসের কাজও প্রায় শেষের পথে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৪৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে পিএবি সড়কের শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে কালাবিবির দীঘির মোড় পর্যন্ত ৮.১ কিলোমিটার ছয় লেন এবং কালাবিবির দিঘি থেকে আনোয়ারা উপজেলা সদর পর্যন্ত ২.৪ কিলোমিটার দুই লেন সড়কের নির্মাণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। বরাদ্ধের মূল সড়কে ব্যয় হবে ২৬৭ কোটি টাকা, জমি অধিগ্রহণে ৯০ কোটি টাকা এবং বাকি ১১৩ কোটি টাকা বিবিধ ক্ষতিপূরণে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এনডিই(NDE)’ এ কাজ করছে। প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়কের ৮ কিলোমিটারে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৬টি কালভার্ট নির্মাণের কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।
সওজের তথ্যমতে বঙ্গবন্ধু টানেল খুলে দেয়ার পর টানেল দিয়ে বছরে প্রায় ৬০ লাখ যানবাহন চলাচল করবে। এত বেশি যানবাহনের চাপ সামাল দিতেই টানেলকে ঘিরে আনোয়ারায় গড়ে তোলা হচ্ছে সড়ক নেটওয়ার্ক।
বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ জানান, টানেলের প্রথম ও দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। টানেলের ভেতর থেকে বোরিং মেশিনটা বের করতে সময় লাগবে চার মাস। এখন আনোয়ারা প্রান্তে এ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ চলমান রয়েছে। আশাকরি আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারব।