ডেস্কঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাড়িতে অবস্থান করায় মেস কিংবা বাসা ভাড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অসহায় শিক্ষার্থীরা। মেসে না থাকলেও নিয়মিত মাসিক ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে তাদের। তবে বশেমুরবিপ্রবির অসহায় শিক্ষার্থীদের মেস কিংবা বাসা ভাড়া মওকুফের জন্য গত বৃহস্পতিবার (৭মে) ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার ১২জুন সকাল ১০ টায় নবীনবাগের সুফিয়া মসজিদে বাড়িওয়ালাদের সাথে মেস কিংবা বাসা ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত আলোচনায় এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগ পর্যন্ত ২৫% বাসা ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।তবে বিদ্যুতের মিটার চার্জ শিক্ষার্থীদের দিতে হবে। বাড়ি ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির সভাপতি ড. হাসিবুর রহমান জানান, কমিটির ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নবিনবাগের বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে মিটিং করেছি।তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে ২৫% বাড়ি ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি অর্ধশতাধিকের বেশি বাড়িওয়ালাদের উপস্তিতিতে নেওয়া হয়েছে।আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করার জন্য নবীনবাগের সকল বাড়িওয়ালাদের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ জামান শুভ বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ থেকে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্ত। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী টিউশন বা কোচিংয়ে ক্লাস নিয়ে নিজেদের পড়ালেখার খরচ চালায়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী নিজ বাসায় অবস্থান করছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে শিক্ষার্থীদের টিউশন নেই, যার ফলে বাড়ি ভাড়া দেয়া অসম্ভব।২৫% বাড়িভাড়া মওকুফ করলেও তা যথেষ্ট নয়।তবে বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন এবং বাড়ি ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত বিষয়ে গঠিত কমিটির তৎপরতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। উল্লেখ্য, গতমাসের শনিবার (১৬মে) গোবরা অঞ্চলের (গোবরা, সোনাকুড়,চর পাথালিয়াসহ নিকটবর্তী এলাকাসমূহ) মেস মালিকদের সাথে মেস ভাড়া মওকুফ বিষয়ক আলোচনায় এপ্রিল থেকে লকডাউন শেষ হওয়া পর্যন্ত ৪০% বাড়িভাড়া মওকুফ করা হয়েছিল।