1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
বদলগাছীতে গুচ্ছগ্রাম রক্ষায় অবৈধ্য বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধের দাবি 
বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন মিরপুর থানা যুবদলের ১২ নং ওয়ার্ডের কর্মী সন্মেলন অনুষ্ঠিত কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগে ১৫ দিনের ব্যবধানে ২টি হাতির মৃত্যু সহ চলতি মাসেই ৩ হাতির মৃত্যু হয় নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধে গ্রেপ্তার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উলিপুরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত উলিপুরে কমিউনিটি ক্লিনিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত পুলিশ সহ তিন বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বাঘায় বিএনপি নেতার বাড়িতে ককটেল হামলায় আসামী ১১২ জন কাশিমপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের নৃশংসতায় প্রাণ গেল তরুণের সাভারের কৃর্তির সুচিকিৎসার জন্য মানবতার ফেরিওয়ালা গরীব বন্ধু অসহায় মানুষের প্রিয় মানুষ খোরশেদ আলম

বদলগাছীতে গুচ্ছগ্রাম রক্ষায় অবৈধ্য বালু উত্তোলন দ্রুত বন্ধের দাবি 

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১, ১২.২১ এএম
  • ২০৩ বার পঠিত
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছীতে ছোট যমুনার নদীর মধ্যে অপরিকল্পিক ও বরাদ্দের টাকা আতœসাৎতের পর
নালুকাবাড়িতে গুচ্ছগ্রামে নির্মিত টিনের ঘরগুলো নির্মাণের ৬ মাসের মধ্যে কিছু ঘর ভেঙ্গে পরেছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে ঘরে প্রবেশ করায় থাকতে পারেন কেউ। সেখানে কোন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ইতো মধ্যে অনেকেই চলে গেছেন অন্যত্র।
গুচ্ছগ্রামের বসবাসরতরা অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন পিআইও বর্তমানে জয়পুরহাটের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আবুল করিম প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা হরিলুট করায় তারা সকল সমস্যায় জর্জিত হয়ে রয়েছে। এমতাবস্তায় গুচ্ছগ্রামের পাশ থেকে প্রভাবশালীরা দীর্ঘ দিন
থেকে অবৈধ্য ভাবে বালু তুলছে। প্রতি দিন শতশত ট্রাক্টর দিয়ে অবৈধ্য বালু নিয়ে যাওয়ায়
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধও ভেঙ্গে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের চলাচলের অনুপোযোগি
হয়ে গেছে। বিভিন্ন অফিসে ধর্ণা দিয়ে অবৈধ্য বালু উত্তোলন বন্ধ না হওয়ায় গুচ্ছগ্রাম নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।
বদলগাছী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মাটি ভরাট ও পরের অর্থ বছরে ৪৮টি টিনের ঘর নির্মাণের ৭২ লাখ বরাদ্দ করা হয়। ঘর নির্মাণের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৯-২০ সালে। সে সময় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে তৎকালীন পিআইও বর্তমানে জয়পুরহাটের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আবুল করিম।
উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ওই প্রকল্পে
মাটিসহ কি কি খাতে কত টাকা সরকারি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে অফিসে তার কোন ফাইল
পাওয়া যায়নি। ওই ফাইলগুলো আগের সংশ্লিষ্টরা কি করেছেন তা জানা নেই। ফলে বিস্তারিত
জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
গুচ্ছগ্রামের সভাপতি আবু বক্কর অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার নালুকাবাড়ি গ্রামের ছোট যমুনার নদীর মধ্যে জেগে উঠা চড়ের অপরিকল্পিত ভাবে ৩ বছর আগে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের
প্রকল্প নেওয়া হয়। এরপর অনেক কর্তারা ঘটনাটি পরিদর্শণে এর বিরোধিতা করেন। তবে সেই সকল কর্তাদের গোপন সমঝোতা করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল করিম তার
ইচ্ছে মতো দ্রুত মাটি ভরাট ও ঘর নির্মাণ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন,
ছোট যমুনা নদীর বাঁধ সমান অর্থাৎ ১৪ ফিট উঁচু মাটি করে ঘর নির্মাণের সরকারি নির্দেশা থাকলেও মাত্র ৯ ফিট উঁচু করে বালু কেটেছেন। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করে কোন লাভ হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে ঘর ৩ফিট থেকে ৪ ফিট পানির নীচে ডুবে যায়। এতে কেউ ঘরে বসবাস করতে পারে না।
গুচ্ছগ্রামের নেত্রি আবেদা খাতুন জানান, সেখানে কত টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাদেরও
জানানো হয়নি। ঘরের কাজের সম্পন্ন করেই তড়িঘড়ি করে উদ্বোধন করে বুঝিয়ে দেওয়া
হয়েছে তাদের। ঘর হস্তান্তরের ৬ মাসের মধ্যেই কয়েকটি ঘর ভেঙ্গে পরেছে। একন পর্যন্ত
কয়েকটি ল্যাট্রিন ঘেরাও করে দেয়নি।
গুচ্ছগ্রামের নেতা হামিদুল হকসহ অন্যরা অভিযোগ করে বলেন, নালুকাবাড়ি গ্রামের ছোট
যমুনার নদীর চড়ে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প অপরিকল্পিত ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল করিমের সেচ্ছাচারিতা ও লুটপাটের কারণে সেখানে বসবাস করতে পারছেন না। এ ছাড়া গুচ্ছগ্রামের স্থাপনকৃত ১৪টি টিউবওয়েলের মধ্যে ১১টি টিউবওয়েলের অকেজো হয়ে
গেছে। এখানে নেই বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানান সমস্যায় জর্জিত। ফলে ইত্যে৪৮ পরিবারের মধ্যে ১৮টি পরিবার গুচ্ছগ্রাম থেকে চলে গেছেন। এখানে বিভিন্ন অনিয়মের
অভিযোগগুলো তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ সমস্যাগুলো সমাধানে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
গুচ্ছগ্রাম বাস্তবায়ন তৎকালীন পিআইও, বর্তমানে জয়পুরহাটের ত্রাণ ও পূর্ণবাসন
কর্মকর্তা আবুল করিমের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ সম্পর্কে প্রশ্ন করতেই সেল ফোনের
সংযোগ বিছিন্ন করেন। এরপর তার সেল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও
রিসির্ভ করেননি। ফলে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বদলগাছী উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান আরো
জানান, গুচ্ছগ্রামের বিভিন্ন সমস্যার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শণ করে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দ্রুত বরাদ্দ পেলে সমস্যাগুলো
সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গুচ্ছগ্রামে বসবাসরতরা ও গ্রামের সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ঘরের নীচের বালু ধ্বসে যাচ্ছে নদীর মধ্যে। অপরদিকে গুচ্ছগ্রামে পাশেই শাহিন চৌধুরী আশিক নামে প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধ্য ভাবে বালু উত্তোলন করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধও ভেঙ্গে তাদের চলাচলের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রশাসনকে জানালেও বালু উত্তোলন বন্ধ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে বাঁধ ধ্বসে যাওয়া এবং গুচ্ছগ্রামটি নদীর মধ্যে বিলিন হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কায় রয়েছেন হতদরিদ্র ও স্থানীয়দের।নালুকাবাড়ি গ্রামের গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে অনিয়মের ব্যাপারে কোন কথা না বললেও
বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহা: আবু তাহির অবৈধ্য বালু বন্ধে আশ্বাস
দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews