কাজী মোতাহার হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজে দুই দলের ৩৫ দেখার মধ্যে ২৫ জয় নিয়ে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। তবে ২০১০ ও ২০১৩ তে নিউজিল্যান্ডকে দুবার হোয়াইটওয়াশ করার সুখস্মৃতি আশা জাগাচ্ছে তামিম বাহিনীকে।
ব্যাটে-বলে সবচেয়ে সফল সাকিবের না থাকাটা কিছুটা ভোগালেও। তরুণরা ভালো করলে আরেকটি কার্ডিফ জয়ের ইতিহাস গড়তে পারে টাইগাররা। দর্শক চলুন দেখে নেই ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেন, কখনো যা পাওয়া হয়নি তা নিয়ে নাকি মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে থাকে। মন থেকে চায় সেই আরাধ্য একবার ছুঁয়ে দেখতে, নিজের করে নিতে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটা জয় নেই টাইগারদের। বাংলার বাইরে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম মিশনে সেটার স্বাদ নিতে কতটা ব্যাকুল তামিম ইকবাল বোঝা যায়। গেরো খুলবে কি এবার? চলুন পরিসংখ্যান মেলানো যাক!
দেশ ও দেশের বাইরে দুই দল এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছে ৩৫টা। তার মধ্যে বাংলাদেশের জয় ১০টা। নিউজিল্যান্ডের ২৫টা। যে যার দেশে রাজা। তবে তাসমান পাড়ে মানুষেরাই মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে।
২০০৪ থেকে দুই দলের দেখা হওয়া আট দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মধ্যে ২০১০ ও ২০১৩ বাংলাদেশের স্মৃতির সেলুলয়েডে জ্বলজ্বলে। ওই দুই সিরিজে ব্লাক ক্যাপসদের ঘরে ডেকে এনে হোয়াইটওয়াশ করেছিল সাকিব-তামিমরা। বাকি ৬ সিরিজের ৫টিতেই বাংলাদেশ হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। শেষ পাঁচ ম্যাচে জয় পায়নি একটাতেও।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল সাকিব। তারপরই আছেন মুশফিক তামিম মাহমুদউল্লাহ। সবার রানই সাড়ে পাঁচশ’র ওপরে। নিউজিল্যান্দের হয়ে ব্যাট হাতে টাইগারদের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল রস টেলর। সাকিব-রস টেলর কেউই এই সিরিজে নেই।
বোলিয়েও সবার চেয়ে সফল সাকিব ১৮ উইকেট নিয়ে। দুই দলের লড়াইয়ে সফলতম অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি এখন সাকিব-তামিমদের কোচ। ওয়ানডেতে ৩ বার একশ রানও তুলতে পারনি বাংলাদেশ এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষ্যে। আছে ৭৭ রানে অলআউটের লজ্জা।
তবে উলটো চিত্রও আছে। দু’দলের দেখা হওয়া ওয়ানডেতে ২০১৬ তে ক্রাইস্টচার্চে ৩৪১ রানের রানের টার্গেট নিউজিল্যন্ডের সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ২০১৩ সালে ফতুল্লায় ৩০৯।
তবে, পরিসংখ্যান যে শুধুই কাগুজে হিসাব-নিকাশ। মাঠে টাইগাররা জ্বলে উঠলে আরেকটি কার্ডিফ জয়ের মতো গল্প লিখতে পারবে বাংলাদেশ। সেই অপেক্ষায় ভক্তরা।