বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার খুলে দিবে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় নদীর তলদেশে প্রথম বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে ‘‘আমরা করবো জয়” এর উদ্যোগে আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর ২০২৩ইং) নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দুই দিনব্যাপী টানেল উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত মত প্রকাশ করেন তিনি।
পতেঙ্গা সমুদ্র পাড়ের সুন্দর বিকেলে এক ঝাঁক শিশুদের মনোমুগ্ধকর কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে বিকাল চারটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এসময় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সুজন বলেন, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম মেয়র নির্বাচনে ২৮ দফার ১টি দফা ছিল নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ। মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি সম্মান জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে টানেল নির্মাণের উপযুক্ত স্থান হিসেবে বেছে নেওয়ায় চট্টগ্রামবাসী গর্বিত। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে উৎসব মুখর করতে দুই দিনব্যাপী টানেল উৎসবের আয়োজন করেছে আমরা করবো জয়। এর মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্মরণীয় বরণীয় করে রাখতে চাই। চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগমনী বার্তা পৌঁছাতে চায় আমরা করবো জয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিলাম’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি কথার বাস্তব প্রতিফলন আজ দেখতে পাচ্ছে চট্টগ্রামবাসী। চট্টগ্রামের উন্নয়নে একের পর এক মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করে চট্টগ্রামকে একটি অন্যতম শ্রেষ্ট নগরীতে রূপান্তরের কাজ চলছে। অল্প কয়দিন পর চট্টগ্রাম ইতিহাসের স্বাক্ষী হতে চলেছে। চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারাকে যুক্ত করবে এ টানেল। সেই সঙ্গে নদীর তলদেশ দিয়ে কম সময়ে যাতায়াত সুবিধা নেবে দুটি আলাদা শহর। টানেলকে ঘিরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক এই প্রশাসক। তিনি আরো বলেন এই টানেল চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন হবে এবং পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে উন্নত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন খোরশেদ আলম সুজন। ঘোড়ার গাড়ি এবং হাজারো জনতার হাতে লাল সবুজ বেলুন নিয়ে খোরশেদ আলম সুজনের নেতৃত্বে যখন বর্ণাঢ্য র্যালীটি শুরু হয় তখন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আগত হাজার হাজার উৎসুক পর্যটক হাত তালি দিয়ে র্যালীকে স্বাগত জানান। উৎসবে চাঁটগাইয়া ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলি এবং মহেশখালীর খিলি পান দিয়ে আগত অভ্যাগতদের আপ্যায়ন করেন আয়োজকরা। সন্ধ্যার নিভু নিভু আলোতে চাঁটগাইয়া গান যখন পুরো উৎসবকে মাতিয়ে তুলে ঠিক তখনই সাগরে চলন্ত স্পীডবোটের মিছিলে জ্বলে উঠে লাল সবুজের আলোর মেলা। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম ইমরান আহাম্মেদ ইমু’র সভাপতিত্বে টানেল উৎসবে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, জহির উদ্দিন মো. বাবর, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ডবলমুরিং থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক দোস্ত মোহাম্মদ, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, ইদ্রিস কাজেমী, মহরম আলী, আব্দুর রহমান মিয়া, নুরুল আলম, জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ, হাজী নুরুল আলম, মো. আলী, ওয়াহিদুল আলম, শাহাদাত হোসেন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, পুলক খাস্তগীর, আব্দুস সালাম মাসুম, নুরজাহান রুবী, হুরে আরা বিউটি, আজম খান, নুরুল কবির, মো. হোসেন, মো. ইলিয়াছ, মোরশেদ আলম, আফরোজা খানম, নাসিমা আকতার, সাজ্জাদ হোসেন, রেজাউল করিম ইরান, সমীর মহাজন লিটন, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ, আব্দুর রহিম জিল্লু, রাজীব হাসান রাজন, মো. ওয়াসিম, ওয়াসিম আকরাম, ফেরদৌস মাহমুদ আলমগীর, পাভেল ইসলাম, নাঈম রনি, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, নোমান চৌধুরী, সুজন বর্মণ, হাসানুল আলম সবুজ প্রমূখ।