রাজশাহী ব্যুরোঃ
রাজশাহীর বাঘায় বিএনপির আহবায়ক ফখরুল হাসান বাবুল নেতার বাড়িতে ককটেল হামলার ঘটনায় আসামী ১১২। গত শুক্রবার (১৭জানুয়ারি) রাত আনুমানিক রাত ৯ টার দিকে বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফখরুল হাসান বাবুলের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুরুবার রাত ৯ টার দিকে বিকট শব্দ শুনে লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির গেটের সামনে ও বাড়ির ভেতরে বিস্ফোরিত ককটেল স্থান দেখেন।অবিস্ফোরিত ককটেল ও বাড়ীর আঙ্গিনায় পড়ে থাকতেও দেখা যায়।
বিএনপির দলীয় নেতা কর্মীরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ মিছিল করে। তারা আওয়ামী লীগ ও রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পাকড়িয়াইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম ওরফে মেরাজকে উদ্দেশ্য করে শ্লোগান দেয়।
থানা পুলিশ জানায়, ৩টা বিস্ফোরিত হয়েছে এবং অবিস্ফোরিত ৬টা উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো জর্দ্দার কৌটায় বিশেষ কায়দায় বাঁধানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ককটেল সদৃশ বস্ত বলে ধারনা করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষার পর ককটের কিনা জানা যাবে।
বাঘা পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মোল্লা জানান, খবর শুনে নেতা কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেল হামলা ও বিস্ফোরণের বিষয়টি দেখেছেন। তাৎক্ষনিক বিক্ষোভও করেছেন।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফখরুল হাসান বাবুল জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। খবরশুনে বাড়িতে গিয়ে ককটেল ও পিস্তুলের গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানতে পারেন। তার দাবি,হত্যার উদ্দেশ্য আওয়ামীলীগের লোকজন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
থানা সূত্রে এ বিষযে পাকুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ১ নং মেরাজুল ইসলাম মেরাজ ২ নং সাবেক বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী,৩ নং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃলায়েব উদ্দিন লাভলু র নামসহ আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতাদের না পেয়ে বক্তব্য
নেওয়া যায়নি। সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা মেরাজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও বন্ধা পাওযা গেছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আ ফ ম আসাদুজ্জামান জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিশেষ কায়দায় জর্দ্দার কৌটায় মোড়ানো ৬টা ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। ৩টা বিস্ফোরিত হয়েছে। তাৎক্ষনিক হামরাকারিদের সনাক্ত করা যায়নি।লিখিত অভিযোগ সূত্রে ১১২ জন নাম ঠিকানাসহ আসামী এবং ১০০/১৫০ জন অজ্ঞাত পেয়েছি।