ইমাম হোসেন জীবন চট্টগ্রামঃ
সিএমপির বায়োজিদ থানাধীন,বায়েজিদ আ/এ, একইদিনে ৩জায়গায় চুরি। ৩১,তৈয়্যাবা ভবন, মাওলা ড্রিম গার্ডেন হাতে ২টি সাইকেল এবং আলিয়া মঞ্জিল হতে ১টি সাইকেল চুরি করতে এলে অত্র এলাকার বসবাসরত সাধারণরা চোরকে ও চোরাইকৃত সাইকেল সহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসনের চোরাইকৃত সাইকেলসহ তালা ভাংগার কাটারসহ উদ্ধার করেন ।
জানা যায় ত্যায়িবা ভবনে অভিনব কৌশলে একইস্থানে পাঁচবার চুরি হলেও নেই কোন অভিযোগ আপত্তি যতাযত প্রতিবাদ কিংবা প্রতিকার।
গত সোমবার ৪অক্টোবর তৈয়্যিবা ভবনে নগদ টাকা,মোবাইল,স্বর্ণ অলংকারসহ প্রয়োজনীয় দরকারী জিনিসপত্র একইস্থানে ৫বার চুরি ও মাওলা ড্রিম গার্ডেন হতে ২টি সাইকেল চুরি হয়।
ভুক্তভোগী জানান- দিনের বেলায় জীবিকার অন্বেষনে যাওয়ার পর রাতে রুমে এসে দেখে যে- রুমে ঠিকই তালা মারা থাকলেও দরজার সিটকিরি লক লুস করে আটকানো।
তালা খেলার পরে দেখে যে, ঘরের ভিতরের সবকিছুই এলোমেলো। ভুক্তভোগী আরো জানায় যে-সে একজন গার্মেন্টসের শ্রমিক তার অনেক পরিশ্রম ও কষ্টের তিলেতিলে সঞ্চিত আয়ে জমানো টাকা।
ডয়ারের লক ভেঙ্গে নগদ ৩,৫০০/=টাকা। নিজের ঘরের ব্যাংকে জমানো প্রায় ১৫,০০০/=টাকা। স্বর্ণের অলংকার সহ প্রায় মোট ৪০-৫০হাজার টাকার সমমূল্যের আর্থিকভাবে ক্ষতি করে চুরি করে নিয়ে যায়।এবং অনাঙ্ক্ষিত চুরি ঘটনার কথায় বলতে গিয়ে আবেগপ্রবন হয়ে কান্না ভেঙ্গে পরেন। এবং বলেন অত্র একই এলাকায় আগে আমি যে জায়গায় ছিলাম সেখানেইও একাধিক বার চুরি হয়েছে।
সেখান থেকে চোরের হাত থেকে বাঁচার জন্য এখানে এলাম। এখানেও রক্ষা পেলাম না। আমি নিরুপায় কিভাবে এখন কি করব। কিছুই আমার মাথায় আসে না।আর এমন লোমহর্ষক ভোগান্তি যে হবে কোন মতোই মানতে পারছি না। আমি এখন কি করব কোন দিশা পাচ্ছি না।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে- বায়োজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামরুজ্জামান বলেন যে- এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই যতাযত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়-অত্র এলাকায় প্রায়ই দেখা যায় যে-সময়-অসময়ে প্রায়ই বাড়িতে চুরির বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায় অনেক। সত্যতা পাওয়া গেলেও এ ব্যাপারে ভোক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় প্রশ্রয়ে যেতেও নারাজ।
আইনি জটিলতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে ঝুঁকি ঝামেলা হতে পারে বিধায় সেই সঙ্কোচ ও উৎকন্ঠা ভয়ে থাকে প্রতিটি মুহূর্তেই। যা কিনা বর্তমান ও ভবিষ্যত জানমালের জননিরাপত্তা ব্যাবস্থাকে ব্যাহত করছে।
এতে জনমনে সুষ্ঠ,সুন্দর,শান্তিপ্রিয় ভবিষ্যত সমাজ গড়তে চরমভাবে ক্ষুদ্ধ হচ্ছে ও অন্যদিগে হতাশাও বাড়ছে। সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থায় যা কিনা নীতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। অন্যদিগে এসব অপরাধী ও নানান অনিয়ম-অপকর্মের সাথে জড়িতরা চুরিকৃত অর্থ দ্বারা নানা অপরাধে প্রবাবিত হচ্ছে যা কিনা বিশাল এক সম্ভাবনাময় তরুণসমাজ।
আলোকিত প্রজন্ম নিমিষেই ধ্বংস হচ্ছে। নীতিহীন অন্ধকার জগতের দিগে কালক্রমে কালেচক্রে হারিয়ে যাচ্ছে শত অপরাধ জগতের গহীনে ডুবে। তৈরি হচ্ছে নিত্যনতুন আক্রমনাত্তক ও ভয়ংকর কিশোর গ্যাং সৃষ্টিতে সহায়ক হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা সবসময় থাকে নিরাপত্তার ভয়ে। আর কখন যেন আবারও চুরি হয় ভয়ে ভয়েই থাকে সর্বক্ষন।